গরম হোক বা ঠান্ডা লুচি, পরোটা ব্রেকফাস্টে থাকলে কথাই নেই। পরোটার সঙ্গে সাদা আলুর তরকারি বেশ লাগে। আর সাদা ফুলকো লুচির সঙ্গে এই তরকারি হলে তো কথাই নেই।
এছাড়াও ব্রেকফাস্টে অনেকেই আলু, পনির, সবজি, ছাতু দিয়ে পরোটা বানিয়ে খান। শীতের দিনে এই পরোটা খাওয়ার চল বেশি। আচার বা রায়তার সঙ্গে পরোটা খেতে বেশ লাগে।
লুচি বা পরোটা গরম গরম খাওয়ার থেকে বাসি খেতে বেশি ভাল লাগে। ন্যাতানো লুচির সঙ্গে দুধ চা হলে তো কথাই নেই। এই কম্বো অনেকেরই খুব প্রিয়।
চা-এর সঙ্গে লুচি, পরোটা খেতে ভাল লাগলেও তা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। যে কোনও একটা খান। আমাদের চায়ের সঙ্গে কোনও ভাজা খাবার খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। যা চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর।
স্টাফড পরোটার সঙ্গে দুধ চা খেলে অ্যাসিডিটি অবধারিত। কারণ আমরা যা খাই সব পাকস্থলিতে গিয়ে জমা হয়। অ্যাসিড আর ক্ষার একসঙ্গে দুটো পাকস্থলি সহ্য করতে পারে না, ফলে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা হয়।
গবেষণা অনুসারে, চায়ে উপস্থিত ফেনোলিক রাসায়নিক পেটের আস্তরণে আয়রন কমপ্লেক্স তৈরি করে, যা আয়রন শোষণে বাধা দেয়। তাই খাবারের সাথে চা খাওয়া উচিত নয়, বিশেষ করে যাদের আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তস্বল্পতা রয়েছে তাদের জন্য।
চায়ের ট্যানিন প্রোটিনের সঙ্গে যুক্ত হলে শরীরে পুষ্টি শোষণে বাধা দেয়। ট্যানিন প্রোটিন হজম করার ক্ষমতাও ৩৮ শতাংশ কমিয়ে দেয়। যে কারণে লুচি বা পরোটার সঙ্দে দুধ চা এত বিপজ্জনক।
যাঁরা চা প্রেমী তাঁরা সাধারণত এমন ভুল করেন না। পুষ্টিবিদরা বলছেন, চায়ের ব্যাপারে শৌখিন হতে। শুধুমাত্র চা-খান। তবেই চায়ের স্বাদ ঠিকভাবে বুঝতে পারবেন। যে কোনও খাবার খাওয়ার অন্তত ৪৫ মিনিট পর চা খান। তার আগে খেলে শরীর খারাপ অবধারিত। সন্ধেতে চা খেলে একদম হালকা স্ন্যাকসের সঙ্গে খান।