ফিন্যান্সিয়াল বছর শেষ হতে চলল। কাজের চাপ একটু হলেও কমবে। কিন্তু বাড়বে গরম। তার আগেই অনেকেই চাইছেন পাহাড় থেকে ঘুরে আসতে। স্বল্প খরচে আর কম দিনের মধ্যে পাহাড় ভ্রমণের জন্য অনেকেই দার্জিলিং, কালিম্পংকে বেছে নেন। তবে, পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে সিকিমও যেতে পারেন।
কাছেপিঠে বেড়াতে যাওয়ার ঠিকানা হিসেবে সিকিমকে অনেকেই বেছে নেন। কিন্তু আজকাল আর কেউ গাংটক, ছাঙ্গু, পেলিং যেতে চাইছেন না। বেশিরভাগ মানুষ খুঁজছে শান্তির ঠিকানা। অফবিট ডেস্টিনেশন।
মার্চ-এপ্রিল মাসে সিকিম বেড়াতে যাওয়ার আদর্শ সময়। এই সময় খুব বেশি ঠান্ডা থাকে না। আবহাওয়া মনোরম হয়ে থাকে। অনেক জায়গা থেকেই স্পষ্ট দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। আর দেখা যায় রডোডেনড্রনের মেলা। তাই এই মরশুমে কোন-কোন অফবিটে যাবেন, রইল ৫ জায়গার খোঁজ।
সিল্ক রুট ভ্রমণপিপাসুদের কাছে জনপ্রিয়। 'জিকজ্যাক' রাস্তা দেখতে অনেকেই জ়ুলুক বেড়াতে যান। এই জ়ুলুকে গিয়ে আপনি রাতও কাটাতে পারবেন। এখানে মেঘেদের মাঝে উঁকি দেয় কাঞ্চনজঙ্ঘা। প্রকৃতিপ্রেমী ও ফটোগ্রাফারদের প্রিয় ডেস্টিনেশনের তালিকায় রয়েছে জ়ুলুক।
পশ্চিম সিকিমের ইউকসমের নাম অনেকের শোনা। একসময় সিকিমের রাজধানী ছিল এই পাহাড়ি জনপদ। এখানকার মনাস্ট্রি ও স্থাপত্যের জন্য ইউকসমে আজও পর্যটকদের আনাগোনা রয়েছে। এখান থেকেই গোচালা ট্রেক শুরু হয়। তাই মার্চ থেকে জুন মাস হল ইউকসম ঘুরে দেখার আদর্শ সময়।
সিকিমের 'হিডেন জেম' জংগু। লেপচাদের শেষ গ্রাম। তাই প্রাচীন লেপচা সংস্কৃতির মুখোমুখি হতে পারবেন জংগুতে। জংগুর আশেপাশে রয়েছে মাঙ্গান, মংতম, তিনভং, কুসং এবং লিংথেমের মতো ডেস্টিনেশন। তবে, জংগুতে প্রবেশের জন্য আপনাকে স্পেশাল পারমিট করাতে হবে।
পশ্চিম সিকিমের হি-বার্মিওক খুব একটা জনপ্রিয় নয় পর্যটকদের মধ্যে। এই পাহাড়িকে চারদিক থেকে ঘিরে রয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা, কোকতাং, কাবরু, রাথোং-এর মতো তুষারাবৃত শৃঙ্গ৷ তার সঙ্গে গরমে বেড়াতে গেলে দেখতে পাবেন রং-বেরঙের রডোডেনড্রন।
জঙ্গলের মধ্যে হাইকিং, বার্ড-ওয়াচিংয়ের পাশাপাশি ল্যাদ খেতেও যদি পাহাড়ে যেতে চান, বেছে নিন তিনকিতামকে। সিকিমের ইকো-ট্যুরিজমের অংশ তিনকিতাম। কাছেই রয়েছে মেনাম ওয়ার্ল্ডলাইফ স্যাঞ্চুয়ারি। দক্ষিণ সিকিমের নামচি থেকে মাত্র ৪৫ মিনিটের রাস্তা তিনকিতাম।