
ফেব্রুয়ারি এখনও শেষ হয়নি। কিন্তু বসন্তের আবহাওয়া জানান দিচ্ছে, গরম আসতে চলেছে। বলা চলে, বসন্তের আবহে গ্রীষ্মের রোদের প্রখর। শীত সম্পূর্ণরূপে বিদায় না দিলেও রোদের তেজ দিন দিন বাড়ছে।

বসন্তের আমেজ উপভোগ করবেন ঠিকই। কিন্তু ট্যানের কথা ভুললে চলবে না। সকালবেলা রোদের মধ্যে হাতকাটা জামা পরলে বেরোলে ট্যান পরতে বাধ্য। এর এই ট্যান তুলতে কালঘাম ছুটবে আপনারই।

শীত হোক বা বর্ষা, সানস্ক্রিন ছাড়া রোদে বেরোনো যায় না। কিন্তু ট্যানকে তাতেও আটকানো যায় না। আর বাজারচলতি ট্যান রিমুভাল ফেসপ্যাক খুব একটা কার্যকর হয় না। তবে, এখন থেকে আপনি ঘরোয়া টোটকার সাহায্য নিতে পারেন।

হাত-পা কিংবা ঘাড়-গলা, শরীরের যে-যে অংশে ট্যান পড়েছে, সেখানে আলু ঘষুন। আলু মধ্যে এক ধরনের এনজাইম পাওয়া যায়, যা ত্বকের বর্ণকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে সূর্যালোক ও ফ্রি র্যাডিকেলের হাত থেকে রক্ষা করে।

ট্যান পড়া অংশে আনারসের পেস্ট লাগান। ২০ মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আনারসের মধ্যে ভিটামিন এ এবং সি রয়েছে, যা ত্বককে রোদের কারণে হওয়া ত্বকের ক্ষত পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে।

স্ট্রবেরি মাখলে যেমন ত্বকের টেক্সচার উন্নত হয়, তেমনই ট্যান দূর হয়ে যায়। স্ট্রবেরিতে আলফা-হাইড্রক্সি অ্যাসিড ও ভিটামিন সি রয়েছে, যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। স্ট্রবেরি ম্যাশ করুন এবং দুধের সরের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে মাখুন।

লেবুর মধ্যে প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট রয়েছে। লেবুর রসে উচ্চ পরিমাণে সাইট্রিক অ্যাসিড ও ভিটামিন সি থাকায়, এটি ত্বক থেকে দাগছোপ দূর করতে সাহায্য করে। যে কোনও হোমমেড ফেসপ্যাকে লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করলে ট্যানও দূর পালাবে।

রূপচর্চার দুনিয়ায় রাজত্ব করে অ্যালোভেরা। উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর ত্বক গঠনে অ্যালোভেরার কোনও বিকল্প নেই। অ্যালোভেরায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা ট্যান করে এবং ত্বকে শীতলতা প্রদান করে। ট্যান দূর করতে আপনি ত্বকে অ্যালোভেরা জেল মাখতে পারেন।