গ্রীষ্মের দাবদাহে কিছুই খেতে ইচ্ছে করে না। বলা ভাল এই গরমের জন্য খাবার হজম করতেও সমস্যা হয়। যত হালকা পাতলা এই সময় খাওয়া যায় ততই ভাল।
গরম পড়লেই তাই শরবত, ঘোল, লস্যি, টকদই, দইভাত, ডালের জল, পাতলা মাছের ঝোল এসবই এই গরমে খেতে সবচেয়ে ভাল লাগে।
এই গরমে টকদই দিয়ে চিঁড়ে, খই, মুড়ি এসব মেখে খেতে বেশ ভাল লাগে। এই টকদই খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। আবার টকদই দিয়ে রায়তা বানিয়ে রুটি দিয়েও খাওয়া যায়।
দুপুরে ভাতের পাতে যাঁরা টকদই খান তাঁদের অধিকাংশেরই অভ্যাস সামান্য নুন আর চিনি দিয়ে খাওয়া। তবে চিনি আর নুন কোনওটাই কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়।
বাড়িতে পাতা টকদই সবচেয়ে ভাল যদি শুধু খাওয়া যায়। নুন আর চিনি কোনওটা দিয়েই টকদই খাওয়া ঠিক নয়। আবার মিষ্টি দই খাওয়া একেবারেই স্বাস্থ্যের জন্যে ভাল নয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই টকদই এর সঙ্গে নুন আর চিনি কোনওটাই ভাল নয়। সবচেয়ে ভাল যদি টকদই এর সঙ্গে যদি আখের গুড় বা জাগেরি পাউডার মিশিয়ে খাওয়া যায়।
দইএর মধ্যে মধু, ভেজানো মুগ মিশিয়ে খেতে পারেন। আয়ুর্বেদ মতে এভাবে টকদই খাওয়া খুব ভাল। এতে শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাও বাড়ে।
দইয়ের মধ্যে নুন, চিনি মিশিয়ে খেলে ত্বকের উপর প্রভাব পড়ে। ফলে চুল বেশি ঝরে। চামড়া কুঁচকে যায়।