False hair: চুল কেটে ফেলে না দিয়ে শহরে বসেই লক্ষ-লক্ষ টাকা রোজগার, জানুন কীভাবে?
reuse of false hair: এই পরচুলা বাক্সবন্দি করে বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। বিদেশে এই চুলের চাহিদা সবচাইতে বেশি। চিনে প্রতি কেজি পরচুলার দাম ৭-৮ হাজার টাকা কেজি। নদিয়ায় এই পরচুলা তৈরিতে প্রচুর মানুষ কারখানায় নিযুক্ত আছেন। তাঁদের মাসমাইনে প্রায় ১৫ হাজার টাকা
চুল কেটে সেই চুল নাকি জমানো যায়! এককালে অবশ্য বাড়িতে বাড়িতে একটা গল্প শোনা যেত। দুপুর বেলা পাড়ায় শনপাপড়ি বিক্রি করতে আসতেন কিছু মানুষ। বাড়ির ছোটরা বায়না করত সেই শনপাপড়ি কিনে খাওয়ার
বাড়ির বড়রা বলতেন এসব তৈরি হয় বুড়ির চুল থেকে আর যাঁরা শনপাপড়ি কিনতেতাঁরা নাকি সেই সব চুল কিনে নিয়ে যেতেন। চুল বিক্রি পুরনো ব্যাপার নয়। পুরনো চুল থেকে পরচুলা তৈরির কাজ অনেকদিন ধরে চলে
সাঁলো বা সেলুন থেকে অনেক মানুষ আছেন যাঁরা চুল কিনে নিয়ে যান। আবার অনেকে এখন ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসার জন্য নিজের চুল কেটে দান করেন। তবে এ রাজ্যেই চুল বিক্রি করে রমরমিয়ে ব্যবসা চলছে জানেন কি?
এমনকী সেখান থেকে প্রচুর মানুষ লক্ষাধিক টাকাও আয় করছেন। নদিয়ার চাপড়ায় বহু বছর ধরে চলে চুল বিক্রির কারবার। রুটি-রুজির জন্য অনেকেই পরচুলা তৈরি করেন
নদিয়ার হাতিশালা ১ নম্বর এবং ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় আন্দুলিয়া গ্রামের অধিকাংশই এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে হকাররা মহিলাদের কেটে দেওয়া চুল জোগাড় করেন। এই চুলপ্রতি কেজি চার-সারে চার হাজার কেজি দরে বিক্রি হয়। এরপর সেই চুলে নানা কারুকার্যও করা হয়
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কথায়, হকাররা বিভিন্ন বাড়ি থেকে চুল সংগ্রহ করে থাকেন। পরে সেই চুল সংগ্রহ করে পালিশ করা হয় যাতে কোনওভাবেই আসল এবং নকলের মধ্যে কোনও পার্থক্য না বোঝা যায়
এই পরচুলা বাক্সবন্দি করে বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। বিদেশে এই চুলের চাহিদা সবচাইতে বেশি। চিনে প্রতি কেজি পরচুলার দাম ৭-৮ হাজার টাকা কেজি। নদিয়ায় এই পরচুলা তৈরিতে প্রচুর মানুষ কারখানায় নিযুক্ত আছেন। তাঁদের মাসমাইনে প্রায় ১৫ হাজার টাকা
নদীয়ায় এমন অনেক গ্রাম আছে যেখানে জীবিকা নির্বাহের মূল ভিত্তি হল এই পরচুলা তৈরি। চুল সংগ্রহ করে সেখান থেকে ফ্যাশনেবল উইগ বানিয়ে তাঁদের মাস্ক আয় ১৫-১৬ হাজার টাকা। চিনের বাজারে এই চুলের দাম অনেক বেশি। লকডাউনে ব্যবসায় খানিক ভাঁটা পড়লেও আবার সেই বাজার চাঙ্গা হয়ে দাঁড়িয়েছে