কাঠফাটা রোদে বেরলে ঘেমে-নেয়ে একাকার অবস্থা হচ্ছে। রোদে বেরলে ছাতা আর জলের বোতল মাস্ট। কিন্তু তার মাঝেও ঠান্ডা পানীয়তে গলা ভেজাতে মন চায়। কিন্তু রাস্তায় বেরিয়ে সোডাযুক্ত পানীয়, ফলের রস না পান করাই ভাল। বরং, খেতে পারেন বাটারমিল্ক।
লস্যি, ঘোল, ছাসই হল বাটারমিল্ক। এটা শুধু যে গরমে আপনাকে আরাম দেয়, তা নয়। গরমে সুস্থ থাকতেও সাহায্য করে লস্যি। অনেকেই দই খেতে পছন্দ করেন না। তাঁরা খেতে পারেন দইয়ের তৈরি এই ঘোল। শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করতে পারে এই পানীয়।
গরমে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে টক দইয়ের তৈরি এই পানীয়। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ সকলেই এই গরমে দইয়ের ঘোল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। এতে গরমে শরীর ঠান্ডাও থাকে। পাশাপাশি এটি গরমে গরমে র্যাশ, ঘামাচির হাত থেকে রক্ষা দেয়।
ঘোল তৈরি করতে টক দইয়ের সঙ্গে নুন, চিনি, জিরে গুঁড়ো ও জল ব্যবহার করা হয়। গরমে এই পানীয় পান করলে এটি শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এতে আপনি হিট স্ট্রোক, পেশিতে খিঁচুনি, ক্লান্তি, মাথা ঘোরা ইত্যাদি প্রতিরোধ করতে পারবেন।
গরমে অনেকেই বদহজমের সমস্যায় ভোগেন। তাঁরাও খেতে পারেন বাটারমিল্ক। বাটারমিল্ক অম্বল, বুক জ্বালা, পেট ফোলার সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। দুপুরে খাবার খাওয়ার পর এক গ্লাস লস্যি পান করলেই, মিলবে বদহজমের সমস্যা থেকে মুক্তি। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করে এই পানীয়।
গরমে রক্তচাপ বেড়ে গেলে নাক দিয়ে রক্তপাতের ঘটনা ঘটতে পারে। এই সমস্যা এড়াতে লস্যি পান করুন। উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুণ উপকারী এক গ্লাস ঘোল। এতে হৃদরোগের ঝুঁকিও অনেক কমে যায়।
যেহেতু ঘোল টক দই দিয়ে তৈরি হয়, তাই এতে প্রোবায়োটিক থাকে। ঘোলের ভাল ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে ভাল রাখতে সাহায্য করে। এই পানীয় পান করে আপনি সহজেই ইউরিন সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে পারবেন। এছাড়া ওজন কমাতেও সাহায্য করে বাটারমিল্ক।
এক কাপ টক দইয়ের সঙ্গে দু’কাপ ঠান্ডা জল মিশিয়ে নিন। এবার এতে একটি কাঁচালঙ্কা, এক টুকরো আদা, এক টেবিল চামচ কুচানো ধনে পাতা ও পুদিনা পাতা, হাফ চা চামচ জিরে গুঁড়ো, স্বাদমতো বিটনুন ও নুন মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। গরমের দিনে চুমুক দিন এই সুস্বাদু বাটারমিল্কে।