
বঙ্গে শীতের দেখা নেই। তার উপর ডিসেম্বরের শুরুতে টিপটিপ বৃষ্টি হচ্ছে। রোদের তেজ নেই বললেই চলে। তাই শুধু ময়েশ্চারাইজার মেখে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন? সানস্কিন ছুঁয়ে দেখছেন না? মারাত্মক ভুল করছেন।

সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি বাড়ির ভিতরে থাকলেও আপনার ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। আর সেখানে যতই বৃষ্টি হোক বা সূর্যের তেজ কম থাকুক, আপনাকে সানস্ক্রিন মাখতেই হবে। সানস্ক্রিন শুধু প্রসাধনী নয়, এটি আপনার ত্বকের জন্য অপরিহার্য একটি উপাদান।

সানস্ক্রিন না মাখলে ত্বক রোদে পুড়বেই। কিন্তু সানবার্ন বা সানট্যানের হাত থেকে ত্বককে সুরক্ষা প্রদান করা ছাড়াও সানস্ক্রিন নানা উপায়ে ত্বককে সাহায্য করে। এটি আপনার ত্বককে অকালবার্ধক্যের হাত থেকে রক্ষা করে।

চড়া রোদে সানস্ক্রিন ছাড়া বেরোনোই উচিত নয়। আর রোদ না থাকলেও সানস্ক্রিন ছাড়া এক পাও চলা উচিত নয়। শীতকালে ওজন স্তরের ঘনত্ব কম থাকায় সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব বেড়ে যায়। তাই এই মরশুমে সানস্ক্রিন ব্যবহার না করলে ভুল করবেন।

সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে ত্বকে ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। শীতকালে ওজন স্তরের ঘনত্ব পাতলা হওয়ার কারণে সূর্যরশ্মি সরাসরি গায়ে এসে পড়ে। এতেই বেড়ে যায় ত্বকে ক্যানসার হওয়ার প্রবণতা।

বলিরেখা, সূক্ষ্মরেখার মতো অকালবার্ধক্য ত্বকের সৌন্দর্য কেড়ে নেয়। বয়সের কারণে চামড়া ঝুলতে থাকা খুব সাধারণ। কিন্তু বয়সের আগেই ত্বক যাতে বুড়িয়ে না যায়, তার জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।

শীতকালে ত্বক শুকিয়ে যায়। এক্ষেত্রে ভাল মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা জরুরি। কিন্তু সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে আলাদা করে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। সানস্ক্রিনই আপনার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে।

শীতকালে রোদের তেজ কম, তাই সানস্ক্রিন ব্যবহারেও বদল আনা দরকার। সাধারণত এসপিএফ ৩০ যুক্ত সানস্ক্রিন মাখলেই ত্বক ভাল থাকে। তবে, শীতকালে আপনি এসপিএফ ৫০ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন।