বর্তমানে যেভাবে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে তাতে জীবনধারায় পরিবর্তন না করলে সুস্থ থাকা সম্ভব নয়। একবার এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে এটি সহজে পিছু ছাড়তে চায় না। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে নিয়মিত শরীরচর্চার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে আপনাকে।
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ব্রেকফাস্টে যদি নিয়মিত দুধ পান করা হয় তাহলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। কিন্তু চিনি দিয়ে দুধ পান করলে কোনও উপকারই পাবেন না। বরং এতে হিতে বিপরীত হবে।
ব্রেকফাস্টে দুধে ওটস মিশিয়ে খেতে পারেন। ওটসের মধ্যে ফাইবার রয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। নিয়মিত দুধে ওটস মিশিয়ে খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমে যায়।
দুধের মধ্যে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। গরম দুধে দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে পান করলেও আপনি উপকার পাবেন। দারুচিনির মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ডায়াবেটিসের পাশাপাশি অন্যান্য রোগের ঝুঁকিও কমায়।
প্রাচীনকাল থেকে গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। এতে সর্দি-কাশির মতো ভাইরাস গঠিত রোগ প্রতিরোধ করা যায়। পাশাপাশি এটি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে এই হলুদ দুধ।
সুস্থ থাকতে ডায়েটে আমন্ড রাখা জরুরি। আপনি চাইলে দুধের সঙ্গে আমন্ড মিশিয়েও খেতে পারেন। এটি আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দেবে। পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।