Photo Gallery: কে শোনে কার কথা! নিষেধাজ্ঞা নামেই, নাড়া-দূষণে জেরবার আমজনতা
TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস
Nov 11, 2021 | 11:30 PM
Paschim Medinipur: নাড়া পোড়ানোর ফলে উত্তর প্রদেশ থেকে দিল্লিতে ভয়াবহ বায়ু দূষণ (Air Pollution) দেখা গিয়েছে। সেখান থেকে কি কোনও শিক্ষাই নেবে না বাংলা? নিষেধাজ্ঞা আছে খাতায়-কলমে।
1 / 5
পশ্চিম মেদিনীপুর: নাড়া পোড়ানোর ফলে উত্তর প্রদেশ থেকে দিল্লিতে ভয়াবহ বায়ু দূষণ (Air Pollution) দেখা গিয়েছে। সেখান থেকে কি কোনও শিক্ষাই নেবে না বাংলা? নিষেধাজ্ঞা আছে খাতায়-কলমে। তবু পশ্চিম মেদিনীপুর জুড়ে ফসলের নাড়া পোড়ানোর হিড়িকে দূষণ সমস্যা বাড়ছেই।
2 / 5
বিঘের পর বিঘে ধানের জমিতে জ্বলছে আগুন! ধোঁয়ায় ঢাকছে গোটা এলাকা ছড়াচ্ছে দূষণ, হুঁশ নেই কারও। আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবাধে চলছে ধানকাটার পর জমিতে 'নাড়া'পোড়ানো।নষ্ট হচ্ছে জমির উর্বরতা,বাড়ছে পরিবেশ দূষণ হুঁশ নেই কৃষক থেকে প্রশাসনের। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার দিগন্ত বিস্তৃত মাঠে দেখা গেল এমনই অসচেতনতার ছবি। শুধু চন্দ্রকোনা নই এ ছবি জেলার সর্বত্রই। শুরু হয়েছে মাঠ থেকে পাকা ধান বাড়িতে তোলার কাজ। বর্তমানে শ্রমিকের অভাব, খরচ ও সময় বাঁচাতে চাষিরা ধান কাটার কাজে ব্যবহার করছেন কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন। মেশিনে ধান কাটার পর জমিতে রয়ে যায় ধান গাছের বড় বড় নাড়া ও খড়। তাতে আগুন লাগিয়ে জমি পরিষ্কার করে পুনরায় চাষ করার প্রস্ততি শুরু হয়েছে মাঠ জুড়ে।
3 / 5
কিন্তু জমিতে আগুন লাগিয়ে নাড়া পোড়ানোর জেরে জমির উর্বরতা নষ্ট যেমন হয় পাশাপাশি পরিবেশ দূষণের মাত্রা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। এসব জেনেও তা অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে চাষীরা। এর জেরে কালো ও ঘন ধোঁয়ায় ঢাকছে গোটা এলাকা। আগুনের তাপে জমিতে থাকা কৃষকের বন্ধু বলে পরিচিত 'কেঁচো' নষ্ট হচ্ছে তেমনই কীটপতঙ্গও ধ্বংস হচ্ছে। এবিষয়ে কৃষি দপ্তরের তরফে কৃষকদের সচেতনতায় প্রচার বা কর্মশালা করা হলেও প্রতিবছরই ধান কাটার পর জমিতে আগুন লাগানোর মতো ঘটনা ঘটে চলেছে। যদিও কৃষকদের দাবি, একে শ্রমিকের অভাব, তার পর ধান কাটার খরচও বেশি। সময়ও প্রচুর লাগে। তাই বিগত কয়েকবছর ধরে অত্যাধুনিক কম্বাইন হারভেরস্টার মেশিনের সাহায্যে তাঁরা ধান কাটছেন। এতে স্বল্প সময়ে জমিতেই বিঘার পর বিঘা জমির ধান কাটাই ঝাড়াই হয়ে বাড়ি চলে যায়।
4 / 5
এদিকে ধান কাটার মরসুমে চলছে এইসমস্ত মেশিনের ব্যবহার। মেশিনে ধান কাটার পর জমিতে পড়ে থাকছে নাড়া ও খড়। এসব চাষিরা সংগ্রহ না করে জমি পরিষ্কার করতে আগুন লাগিয়ে তা নষ্ট করার প্রবণতা দিনদিন বেড়েই চলেছে।
5 / 5
চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা এস মাসান্তের বার্তা, নাড়া পুড়িয়ে চাষিরা তাদের নিজেদের যেমন ক্ষতি করছে তেমনি পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। জমির উর্বরতা কমলে তাতে আখেরে চাষিদেরই ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। তাই এনিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে পোস্টারিং করা হয়েছে এলাকায়। পাশাপাশি তাঁদের নিয়ে একাধিক শিবিরও করা হয়েছে।