জি-২০ সভাপতিত্বের গুরুদায়িত্ব ভারতের কাঁধে। নয়া দিল্লিতে জি-২০ বৈঠকের আগেই ভোল বদলে গেল প্রগতি ময়দানের আইটিপিও কমপ্লেক্সের। ১২৩ একর জমির উপরে অবস্থিত এই কমপ্লেক্স বৈঠক, সম্মেলন, প্রদর্শনীর জন্য ভারতের বৃহত্তম কেন্দ্র।
আয়তনের হিসাবেও বিশ্বের সেরা ১০টি প্রদর্শনী ও কনভেনশন কমপ্লেক্সের মধ্যে অন্যতম নয়া দিল্লির আইটিপিও কমপ্লেক্স। জার্মানির হ্যানওভার এগজিবিশন সেন্টার বা সাংহাইয়ের ন্যাশনাস এগজিবিশন অ্য়ান্ড কনভেনশন সেন্টারের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে এই বিশ্বমানের কমপ্লেক্স।
এই কনভেনশন সেন্টারের তৃতীয় তলে একসঙ্গে বসতে পারবেন ৭ হাজার মানুষ, যা অস্ট্রেলিয়ার সিডনি অপেরা হাউসের দর্শক ধারণ ক্ষমতার থেকেও বেশি। ফলে বিশালাকার এই কনভেনশন সেন্টারে আন্তর্জাতিক সম্মেলন, বড় বৈঠক ও বিশ্বমানের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা সম্ভব।
এর প্রদর্শনী হল সাত ভাগে বিভক্ত, যার প্রতিটি ভাগ বিভিন্ন উদ্ভাবন ও চিন্তাভাবনাকে ফুটিয়ে তুলেছে। ব্যবসায়িক বৃদ্ধি ও জনসংযোগের লক্ষ্য়ে সম্মেলনের জন্য আদর্শ স্থান এই কনভেনশন সেন্টার।
অসাধারণ নানা বৈশিষ্ট্য রয়েছে এই কনভেনশন সেন্টারের। তার মধ্যে অন্যতম হল বিশালাকার অ্যাম্ফিথিয়েটার, যেখানে একসঙ্গে ৩০০০ মানুষ বসতে পারবেন। এর আকার তিনটি পিভিআর থিয়েটারের আকারের সমান। এখানে সাংস্কৃতিক, বিনোদন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে।
আইইসিসি কেন্দ্রে আগত অতিথিদের যাতায়াতের সুবিধাকেও প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অতিথিদের জন্য় সাড়ে ৫ হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আইটিপিও কমপ্লেক্সে আসার রুটও এমন করা হয়েছে যেখানে রাস্তায় বারবার সিগন্যালের ঝামেলায় পড়তে হবে না।