দার্জিলিংয়ের মল রোডের 'গ্লেনারিজ' চেনেন না, এরকম লোক বোধহয় খুবই কম। বাঙালির অন্যতম পছন্দের বেড়াতে যাওয়ার জায়গায় রয়েছে এই সদৃশ্য এবং বহু প্রাচীন বেকারি। সিনেমার দৌলতেও 'গ্লেনারিজ' এখন জগৎবিখ্যাত। ১৯৩৫ সালে এক ইতালীয় ব্যক্তি এই বেকারি শুরু করেন। তখন এর নাম ছিল 'ভাদো'। মালিক ছিলেন জাতের পিলিভা। ১৯৫৯ সালে Augustine Tarcius Edwards এই ক্যাফে এবং বেকারি কিনে নেন। তখন থেকে আজ পর্যন্ত এই বেকারির মালিকানা সামলাচ্ছেন এডওয়ার্ডের বংশধরেরা।
বাড়ি বাড়ি গিয়ে বেকারি আইটেম বিক্রি করতেন বাগদাদের জিউ Nahoum Israel Mordecai। সেটা ছিল ১৯০২ সাল। এর ১২ বছর পর ১৯১৬ সাল থেকে রমরমা শুরু 'নাহুমস'- এর। কলকাতার বুকে বেকারি শব্দটা উচ্চারণ করলেই নাহুমের কেক আর কুকিজের গন্ধ যেন ভেসে এসে লাগবে আপনার নাকে। বড়দিন ছাড়াও বছরভর কেকপ্রেমীদের ভিড় লেগেই থাকে এই দোকানে।
পুণের কল্যাণী বেকারি। ১৯৫৫ সালে দুই পার্সি ভাই এই বেকারি খোলেন। কুকিজ তৈরির জন্য এই বেকারি দারুণ প্রসিদ্ধ। সমঝদাররা বলেন, কল্যাণী বেকারির কুকিজ নাকি মুখে দিলেই গলে যায়। খাওয়ার জন্য কসরত করতে হয় না।
চেন্নাইয়ের স্মিথ ফিল্ড বেকারি ১৩৫ বছরের পুরনো। ১৮৮৫ সালে এই বেকারি শুরু করেছিলেন Ponnuswamy N। প্লাম কেক, টি কেক, ফ্রুট কেক ছাড়া আরও অনেক রকমের কেক আর কুকিজের জন্য চেন্নাইয়ের এই বেকারি এবং ক্যাফে অত্যন্ত প্রসিদ্ধ।
বেঙ্গালুরুর অ্যালবার্ট বেকারি। ১৯০২ সালে মহম্মদ সুলেমান নামের এক ব্যক্তি ফ্রেজার টাউনের এই বেকারি শুরু করেছিলেন। কেকের পাশাপাশি কিমা সামোসা, চিকেন শিক রোল, ভেজা পাফ, চিকেন মালাই কাটলেট, ককটেল সামোসা এবং খোভা নান (খোয়া দিয়ে তৈরি)- এখানকার এইসব আইটেম বিখ্যাত।
১৯৫১ সালে তৈরি হয়েছিল ইয়াজদানি বেকারি। মুম্বইয়ের এই বেকারির প্রতিষ্ঠাতা এক পার্সি ব্যক্তি Zend Meherwan Zend। এখানকার স্ট্রং ইতানি চা আর বান মাস্কা, মুম্বইয়ের অলিগলিতে বিখ্যাত। বিভিন্ন ধরনেই পাই, কেক, বিস্কুট, কুকিজ, পাও- এখানে পাওয়া যায়।
দিল্লির কনৌট প্লেসে রয়েছে ওয়েঙ্গার বেকারি। ১৯৩৩ সালে শুরু হয়েছিল এই বেকারি। স্যান্ডউইচ, অ্যাপেল পাই, ডোনাট, মিল্কশেক আরও অনেক অসাধারণ খাবার পাওয়া যায় এই বেকারিতে।