বাড়িতে নুন আনতে পান্তা ফুরনোর মতো অবস্থা ছিল। কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখা ছাড়েননি তামিলনাড়ুর টি নটরাজন (T Natarajan)। (ছবি-টি নটরাজন টুইটার)
টি নটরাজনের বাবা এক শাড়ির ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। যৎসামান্য আয় দিয়ে পরিবারের সকলের পেট চলত না। তাই তাঁর মা-ও রাস্তার পাশে একটি ছোট্ট ঠেলাগাড়ি নিয়ে হকারি করতেন। (ছবি-টি নটরাজন টুইটার)
গ্রামের রাস্তায় টেনিস বলে ইয়র্কার অনুশীলন করতেন টি নটরাজন। ধীরে ধীরে স্থানীয় টুর্নামেন্টে ডাক পেতে থাকেন তিনি। এক সময় যার কাছে ক্রিকেট কিট ছিল না, সেই নটরাজন এখন সালেমে একটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম বানিয়েছেন। (ছবি-টি নটরাজন টুইটার)
এর পর নটরাজনের জীবনে প্রবেশ হয় কোচ জয়প্রকাশের। তিনি তাঁকে ক্রিকেটার হওয়ার পথে সাহায্য করেন। বদলে যেতে শুরু করে নটরাজনের জীবন। (ছবি-টি নটরাজন টুইটার)
চেন্নাইয়ে এক সময় জোলি রোভার্স ক্লাবে খেলেন নটরাজন। এরপর সেখান থেকে তামিলনাড়ুর হয়ে রঞ্জি দলে খেলার সুযোগ পান তিনি। (ছবি-টি নটরাজন টুইটার)
২০১৭ সালে নটরাজনকে ৩ কোটি টাকায় কেনে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। সে বার প্রত্যাশা মতো পারফর্ম করতে পারেননি নটরাজন। (ছবি-টি নটরাজন টুইটার)
২০২০ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ টি নটরাজনকে কেনে। এরপর তিনি আইপিএলের মঞ্চে জ্বলে ওঠেন। সেখান থেকে জাতীয় দলে প্রবেশ নেট বোলার হিসেবে। এরপর ভারতের হয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তাঁর তিন ফর্ম্যাটে অভিষেক হয়। (ছবি-টি নটরাজন টুইটার)
টিম ইন্ডিয়ার হয়ে এখনও অবধি ট-নটরাজন ১টি টেস্টে, ২টি ওডিআইতে এবং ৪টি টি-২০ ম্যাচে খেলেছেন। তিনটি ফর্ম্যাটে তাঁর উইকেট প্রাপ্তি যথাক্রমে ৩, ৩ ও ৭। এরপর চোটের কারণে দীর্ঘদিন তাঁকে মাঠের বাইরে থাকতে হয়। আর পুরনো ছন্দে ফিরতে পারেননি তিনি। এখন তাই জাতীয় দল থেকে দূরে রয়েছেন। (ছবি-টি নটরাজন টুইটার)