গত কয়েক বছর বিউটি টিপসের মধ্যে কোরিয়ান বিউটি ট্রেন্ড ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রতি মুহূর্তে আমরা এই কোরিয়ান সৌন্দর্য প্রবণতাকে অর্জন করছি তা বুঝেও উঠতে পারছি না। কারণ এই ট্রেন্ডটি এতটাই বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, তাতে এড়িয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
আর সৌন্দর্য ক্ষেত্রে বেড়ে গিয়েছে ভাতের জলের ব্যবহার। রাইস ওয়াটার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে একাধিক উপকারিতা পাওয়া যায়। আপনি রাইস ওয়াটারকে টোনার হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও বাজারে একাধিক কোরিয়ান পণ্য পাওয়া যায় যেখানে এই রাইস ওয়াটার ব্যবহার করা হয়।
ভাতের জলে প্রচুর পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে যা ত্বকের বার্ধক্য প্রক্রিয়া ধীর করে দিতে পারে। এটি ত্বকের বার্ধক্যের জন্য দায়ী একটি এনজাইম ইলাস্টেজের কার্যকলাপকেও বাধা দিতে পারে।
চোখের নিচে কালশিটে দাগ, মুখে নানা দাগ এই সব ত্বকের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কোরিয়া ও জাপানের মহিলারা রাইস ওয়াটার ব্যবহার করে। আপনিও চাইলে এই টোটকাকে কাজে লাগাতে পারেন। ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে রাইস ওয়াটার।
গরমে সানবার্নের সমস্যা খুব সাধারণ। এই সমস্যা থেকেও রেহাই পেতে ভাতের জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। গরমে এই টোটকা সানবার্নের সমস্যা দূর করে। এর পাশাপাশি গরমে ত্বকের তেলতেলে ভাবকে নিয়ন্ত্রণ করে। তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যাকে দূর করতে সাহায্য করে রাইস ওয়াটার।
চালের জল বিভিন্ন উপায়ে আপনার চুলের সাহায্য করতে পারে। এটি বছরের পর বছর ধরে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পার্থক্য শুধু এই যে, এতে কোনো রাসায়নিক পদার্থ অন্তর্ভুক্ত থাকে না। পরিবর্তে, এতে রয়েছে ইনোসিটল, যা চুলের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে।