TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক
Jan 23, 2022 | 5:54 PM
গর্ভাবস্থায় একজন মহিলাকে নানারকম শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। সেই সঙ্গে বেশ কিছু হরমোনগত পরিবর্তনও আসে। আর এই মা হওয়ার লম্বা জার্নিতে মাকে কিন্তু থাকতে হবে ফিট। তবেই সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে পারবে। তবে হবু মায়েরাও নির্ভয়ে নিতে পারে কোভিড ভ্যাকসিন। কিছুদিন আগেই একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, প্রথম ট্রাইমেস্টারের পর যে কোনও সময় মায়েরা ভ্যাকসিন নিতে পারে। এক্ষেত্রে গর্ভস্থ সন্তান থাকে সুরক্ষিত। সেই সঙ্গে তৈরি হয় অ্যান্টিবডি।
আজকাল কোভিডের সংক্রমণ যে ভাবে বেড়েছে তাতে শিশু থেকে বৃদ্ধ ছাড় পাচ্ছেন না কেউই। তবে এবার সকলেই বাড়িতে থেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন। আলাদা করে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন পড়ছে না। সাধারণ জ্বর, সর্দির মতই লক্ষণ।
তবে কোভিড ,সেরে গেলেও ক্লান্তি, কাশি, হজমের সমস্যা, পেটের সমস্যা এসব কিন্তু রয়ে যাচ্ছে বেশ কিছুদিন। আর তা থেকে সেরে উঠতেও বেশ কিছুদিন সময় লাগছে। অনেকের ক্ষেত্রেই দীর্ঘ কোভিড হচ্ছে। রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও সমস্যা থেকে যাচ্ছে দীর্ঘদিন। আর তাই কোভিডের রোগ লক্ষণ হালকা হলেও সাবধানে থাকার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। যে কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোনওভাবেই ওমিক্রনকে হালকা ভাবে না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
কোভিড পরবর্তী সময়ে শরীরে বেশ কিছু সমস্যা আসে। তবে সবার ক্ষেত্রেই যে একরকম সমস্যা হয় তা নয়। কিন্তু এই সব রেশ থেকে যায় ৬ মাস পর্যন্ত। আর তাই যদি সদ্য কোভিড থেকে ভুগে ওঠেন তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই প্রেগন্যান্সি প্ল্যানিং না করাই শ্রেয়। অন্তত ৬ মাস অপেক্ষা করুন। পরামর্শ চিকিৎসকদের। কারণ এতে পরবর্তীকালে নানা জটিলতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই সঙ্গে মা এবং গর্ভস্থ সন্তানের স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা থেকে যায়।
তাই মাতৃত্বের পরিকল্পনা থাকলে আগে থেকেই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। আপনার শরীর যদি সন্তান ধারণের জন্য উপযোগী থাকে তাহলেই পরবর্তী পরিকল্পনা করুন। সেক্ষেত্রে কোভিডের দুটো চিকার ডোজই সম্পন্ন করুন। মেনে চলুন যাবতীয় কোভিড বিধি। Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন