প্রাচীনকাল থেকে রূপচর্চায় প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার হয়ে আসছে। হলুদ, নিমের মতো প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের জন্য উপকারী। কিন্তু সব প্রাকৃতিক উপাদানই যে ত্বকের জন্য উপকারী তা নয়।
হেঁশেলে এমন অনেক উপাদান রয়েছে যা একইভাবে আমরা রূপচর্চায় ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু সব ধরনের পণ্য যে মুখে মাখবেন, এমন কোনও কথা নেই। বেসন, দই, দুধ ত্বকের যত্নে আমরা প্রায়শই ব্যবহার করে থাকি। আবার এমনও কিছু পণ্য রয়েছে যা ভুলেও ত্বকের উপর ব্যবহার করা যায় না।
রান্নাঘরে বিভিন্ন ধরনের ময়দা রয়েছে। যেমন আটা, বেসন, চালের আটা ইত্যাদি। এই সব ধরনের পণ্য যে ত্বকে লাগানো যায়, তা নয়। বেসন কিংবা চালের গুঁড়ি মুখে মাখলেও আটা মুখে মাখবেন না। এমনকী ভুট্টার তৈরি আটাও মাখা উচিত নয়।
ত্বকে আমরা অনেকেই হলুদ কিংবা দারুচিনি ব্যবহার করি। কিন্তু এমনও কিছু মশলা রয়েছে যা ভুলেও ত্বকে লাগানো উচিত নয়। গোলমরিচ, ধনে গুঁড়োর মতো মশলা ভুলেও মুখে মাখবেন না। ধনে ভেজানো জল মুখে লাগাতে পারেন। কিন্তু ধনে গুঁড়ো ব্যবহার করবেন না।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল ত্বকের জেল্লা বাড়ায়। প্রতিদিন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খাওয়া উচিত। কিন্তু তার জন্য মুখে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল লাগানো উচিত নয়। যেমন লেবুর রস বুঝে শুনে ত্বকে লাগানো উচিত।
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার ত্বক ও চুলের জন্য দারুণ উপকারী। কিন্তু এই ভিনিগার সবার ত্বকের জন্য উপকারী নয়। এর অ্যাসিডিক বৈশিষ্ট্য আপনার ত্বকের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। সংবেদনশীল ত্বক ভুলেও এই উপাদান ব্যবহার করবেন না।
বাড়িতে স্ক্রাব তৈরি করার ক্ষেত্রে অনেকেই বেকিং সোডা ব্যবহার করেন। কিন্তু বেকিং সোডা ব্যবহারের ফলে ত্বকে দাগছোপ, ফুসকুড়ি তৈরি হতে পারে। তাই বেকিং সোডা ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকুন।
ত্বকের উপর অনেকেই নারকেল তেল, অলিভ তেল ব্যবহার করেন। কিন্তু এমন অনেকে তেল রয়েছে যা মোটেই ত্বকের উপর লাগানো উচিত নয়। তাই ত্বকের ধরন না জেনে ভুলেও মুখে কোনও রকম রান্নার তেল ব্যবহার করবেন না।