
শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে গেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। শরীরকে হাইড্রেট রাখতে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। তবে ট্যাব ওয়াটারের থেকে স্পার্কলিং ওয়াটার কোষ্ঠকাঠিন্যর জন্য বেশি কার্যকরী।

কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা থেকে রেহাই পেতে চিকিৎসকরা প্রচুর পরিমাণে ফাইবার জাতীয় খাবার খেতে বলেন। ফাইবার মলকে নরম করে এবং দ্রুত তা পাস হতে সাহায্য করে। তার সঙ্গে ফাইবার হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে যে ব্যায়াম করলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যর লক্ষণ গুলো হ্রাস পায়। মর্নিং ওয়াক, জগিং, সুইমিং, সাইকেলিং এই ধরণের ব্যায়ামগুলি প্রতিদিন করতে পারেন।

বেশি পরিমাণ ক্যাফেইন শরীরের জন্য ক্ষতিকারক কিন্তু যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা রয়েছে তাঁরা দিনে অল্প পরিমাণ কফি পান করতে পারেন। অল্প পরিমাণ দ্রবণীয় ফাইবার থাকায় কফি অন্ত্রের পেশীগুলিকে উদ্দীপিত করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে।

সেন্না পাতায় সেনোসাইড নামে যৌগ থাকে, যা আপনার হজম নালীকে বিরক্ত করতে পারে যা অন্ত্রের চলাচলকে উদ্দীপিত করার জন্য যথেষ্ট। তাই সেন্না চা পান করে আপনি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে পারেন।

ম্যাগনেসিয়াম সাইট্রেট কোষ্ঠকাঠিন্যের বিরুদ্ধে একটি জনপ্রিয় ঘরোয়া প্রতিকার। মাঝারি পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম সম্পূরক গ্রহণ কোষ্ঠকাঠিন্য উপশম করতে সহায়তা করতে পারে। ডাক্তাররা অস্ত্রোপচার বা অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির আগে অন্ত্র প্রস্তুত এবং পরিষ্কার করতে বেশি ডোজ ব্যবহার করেন।

প্রোবায়োটিক্স দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে। প্রোবায়োটিক্স খাবার বা সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন এই সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য। প্রোবায়োটিক্স খাদ্য হিসাবে দই, রসুন, পিয়াঁজ ইত্যাদি খেতে পারেন।