
সোয়া: সোয়াতে আইসোফ্লেভোন নামক একটি যৌগ রয়েছে যা থাইরয়েডের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কিছু গবেষক বিশ্বাস করেন যে সোয়া হাইপোথাইরয়েডিজমের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। তাই সোয়া জাতীয় যেকোনও খাবারকে ডায়েট থেকে বাদ দিন।

ফুলকপি ও ব্রকোলি: শাক-সবজি যে সব সময় আপনার শরীরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এমনটা নয়। থাইরয়েডের ক্ষেত্রে ফুলকপি ও ব্রকোলিকে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন। এই ধরণের সবজির মধ্যে পুষ্টি ও ফাইবার থাকলেও এটি শরীরে থাইরয়েডের ক্ষয়কে বাড়িয়ে দেয়।

গ্লুটেন সমৃদ্ধ খাবার: পাস্তা, পাউরুটি এই ধরণের যেকোনও খাবার যাতে গ্লুটেন রয়েছে তা খাবেন না। এই ধরণের খাবারে ফাইবার থাকলেও গ্লুটেন শরীরে হাইপোথাইরয়েডিজমের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

ফ্যাট যুক্ত খাবার: চিকেন, মাখন, মেয়োনিজ এই ধরণের খাবার বাড়াতে বাড়ে থাইরয়েডের ক্ষয়। তাই চেষ্টা করুন এই ধরণের খাবারকে এড়িয়ে যাওয়ার।

প্যাকেজ করা খাবার: প্যাকেটে দীর্ঘ দিনের ফ্রোজেন করা খাবার আপনার শরীরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই ধরণের খাবারে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম থাকে যা থাইরয়েডের রোগীদের ওপর আরও ক্ষতি করে। থাইরয়েড শরীরে রক্তচাপকে বাড়িয়ে রাখে, এর সাথে সোডিয়াম আরও সেই ঝুঁকিকে বাড়িয়ে দেয়।

শর্করা জাতীয় খাবার: আপনি যদি বেশি পরিমাণে শর্করা জাতীয় খাবার গ্রহণ করেন, এর অর্থ হল পুষ্টি ছাড়া আপনি শুধু ক্যালোরি গ্রহণ করছেন। অন্যদিকে, হাইপোথাইরয়েডিজম শরীরে মেটাবলিজমেরে কার্য ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। তাই সুস্থ থাকতে কম শর্করা জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন।

ফাইবার যুক্ত খাবার: ফাইবার যুক্ত খাবার যেমন ডাল, কড়াই এগুলি শরীরে বিশেষত পেট পরিষ্কারের জন্য খুব উপকারী। কিন্তু একজন থাইরয়েডের রোগীর কাছে এগুলিই ক্ষতিকারক। একজন থাইরয়েডের রোগীর দিনে ২৮ থেকে ৩৫ গ্রাম ফাইবার গ্রহণ করা উচিত।