প্রত্যেক সবজির মধ্যেই কিছু পুষ্টি, ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান থাকে যা শরীরের নানান কার্যকলাপে সাহায্য করে। প্রত্যেক শাক-সবজির মধ্যেই এমন কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ক্যান্সার, রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্যর মত একাধিক সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তবে প্রত্যেক শাক-সবজির মধ্যে থাকা পুষ্টি এবং তার কার্যকরীতা সমান হয়। এখানে ছয়টি সবজির তালিকা দেওয়া হল যা আপনার প্রতিদিনের শারীরিক চাহিদাকে পূরণ করতে এবং আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
পালং শাক: প্রোটিন, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ফোলেট এবং ক্যালসিয়াম সহ একাধিক পুষ্টিতে সমৃদ্ধ হয় পালং শাক। মাত্র ৩০ গ্রাম পালং শাক আপনার শরীরে ৫৬ শতাংশ ভিটামিন এ সরবরাহ করে। পালং শাক ক্যান্সার, টাইপ 2 ডায়াবেটিস, হাঁপানি, কম রক্তচাপপের ঝুঁকি কমাতে এবং হজম শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।
রসুন: রসুনের মধ্যে একাধিক ঔষুধি উপাদান রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে কার্যকরী হল অ্যালিসিন। এছাড়া রসুন ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি এবং সেলেনিয়ামে সমৃদ্ধ। এছাড়া এতে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন এবং ভিটামিন বি১ ভাল পরিমাণে রয়েছে। শরীরে রক্তচাপের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি একাধিক শারীরিক সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এই রসুন।
গাজর: গাজরের মধ্যে ভিটামিন কে, এ এবং সি, পটাশিয়াম রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে বিটা ক্যারোটিন নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
ব্রকোলি: ব্রকোলির মধ্যে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন কে এবং ভিটামিন সি রয়েছে, যা বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সার, টিউমার ও অন্যান্য ক্রনিক সমস্যার হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। ৯১ গ্রাম কাঁচা ব্রকোলি আপনাকে ১১৬ শতাংশ ভিটামিন কে এবং ১৩৫ শতাংশ ভিটামিন সি সরবরাহ করে।
মটরশুঁটি: এক কাপ মটরশুঁটি সেদ্ধ আপনার শরীরে ৯ গ্রাম পর্যন্ত প্রোটিন সরবরাহ করতে পারে। তাছাড়া এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং কে, রাইবোফ্লেভিন, থিয়ামিন, নিয়াসিন এবং ফোলেট। উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় মটরশুঁটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে রেহাই দেয়। এরই সাথে হৃদ যন্ত্রকে উন্নত করে টাইপ 2 ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
মিষ্টি আলু: মিষ্টি আলুর মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি6, পটাসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে যা শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং শরীরে শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এর মধ্যে ভিটামিন এ রয়েছে যা স্তন ও ফুসফুসের ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।