আজ ইরফান পাঠানের জন্মদিন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ইরফানের হ্যাটট্রিক এখনও অনেক ক্রিকেটপ্রেমীর চোখে ভাসে। ১৯৪৮ সালের ২৭ অক্টোবর গুজরাটের বরোদাতে জন্মগ্রহণ করেন ইরফান। তাঁর ক্রিকেট জীবনে যেমন আছে সাফল্য তেমনই আছে ব্যর্থতা। অনেকেই মনে করেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন কোচ গ্রেগ চ্যাপলের জন্য ইরফানের ক্রিকেট কেরিয়ার দীর্ঘমেয়াদী হয়নি।
কপিল দেবের পর ইরফানকে ভারতের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ধরে নিয়েছিলেন অনেকে। এমনকি তাঁর বলে সুইং থাকার জন্য প্রবাদপ্রতিম পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার ওয়াসিম আক্রমের সঙ্গে পাঠনের তুলনা করা হত। ২০০১ সালে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ইরফানের অভিষেক হয়। শুরুতেই জাতীয় নির্বাচকদের নজর ইরফানের ওপর পড়েছিল। সেই কারণে ১৯ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়া সফররত ভারতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন পাঠান। ২০০৩ সালের ডিসেম্বর মাসে অ্যাডিলেডে ভারতের প্রথম আন্তর্জাতিক টেস্ট অভিষেক হয় ইরফানের। ওই সফর চলাকালীন ওয়ানডে ম্যাচেও খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন ইরফান।
২০০৬ সালের শেষ দিক থেকে তার ফর্ম পড়তে শুরু করে। সেই সময় ইরফান কে টেস্ট ও ওয়ান ডে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়। তারপর থেকেই ভারতের জাতীয় দলে নিজের অবস্থান কখনও পাকা করতে পারেননি ইরফান। শেষবার ২০১২ সালে দেশের জার্সি গায়ে চাপিয়ে মাঠে দেখা গিয়েছিল তা
অলরাউন্ডার হিসেবে মহেন্দ্র সিং ধোনি নেতৃত্বাধীন ২০০৭ টি টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়েছিলেন ইরফান। ওই বিশ্বকাপে তাঁর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। বিশ্বকাপ ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩ উইকেট তুলে নেওয়ার জন্য ইরফানকে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছিল।
ভারতের হয়ে টেস্ট ম্যাচে ১০০টি, ওয়ান ডে ম্যাচে ১৭৩টি এবং টি টোয়েন্টিতে ২৮টি উইকেট নিয়েছেন ইরফান পাঠান। ২০১০ সালে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে আইপিএলে অভিষেক হয় ইরফানের। এরপর দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ হয়ে চেন্নাই সুপার কিংসে শেষ হয় ইরফানের আইপিএল কেরিয়ার।