টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দীর্ঘদিন ধরে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে না রাখলে শরীরের অনেক অংশের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অত্যধিক তৃষ্ণা বা প্রস্রাব, ক্লান্তি, ওজন বেড়ে যাওয়া এবং চোখের সমস্যা দেখা দেয়।
ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হয়। আর তার সঙ্গে যে সব গ্লাইসেমিক ইনডেক্সে কম স্তরে রয়েছে সেগুলো খাওয়া যায়। কিন্তু গরমের দিন আসছে। এই সময় শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে অনেকেই ফলের রস পান করেন। এটা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কতটা উপকারী?
ফলের রসের চেয়ে তাজা ফল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশি উপকারী। তবে, চিনি ছাড়া আপনি ফলের রস পান করতে পারেন। কিন্তু ফলের রস ছাড়াও আপনি অন্য পানীয়ের উপর ভরসা রাখতে পারেন। এই সব পানীয়তেও গরমে আপনি হাইড্রেটেড থাকবেন।
রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করলে শরীরে জলশূন্য হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করলে প্রস্রাবের মাধ্যমে অতিরিক্ত গ্লুকোজ বের হয়ে যায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাশাপাশি গরমেও আপনি হাইড্রেটেড থাকেন।
ডায়াবেটিসের রোগীরা লেবুর জল পান করতে পারেন। লেবুর জলে ভিটামিন সি রয়েছে যা ডায়াবেটিকদের শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। অবশ্যই লেবুর জল আপনাকে চিনি ছাড়া পান করতে হবে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ফলের রসে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের তা এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। তার পরিবর্তে আপনি তাজা সবজির রস পান করতে পারেন। লাউ, করলা, পালংশাকের তৈরি জুস পান করুন। এতে সুগার লেভেলও নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
ডায়াবেটিসের রোগীরা গরম শরীরকে সুস্থ রাখতে ডাবের জল পান করতে পারেন। ডাবের জলের বিকল্প খুঁজে পাওয়া কঠিন। এটি কম গ্লাইসেমিক সূচক এবং এতে শর্করার পরিমাণও কম। তার উপর পুষ্টিতে ভরপুর। সুতরাং, ডাবের জল খেলে সুগার বাড়ার ভয় নেই।
রোজ এক গ্লাস করে ঘোল বা বাটারমিল্ক পান করুন। এই পানীয় দুর্দান্ত প্রোবায়োটিক যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিসের পাশাপাশি এই পানীয় রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাছাড়া এটি গরমে আপনাকে তরতাজা অনুভূতি এনে দেয়।