US fighter jets: বাংলার আকাশ কাঁপল মার্কিন যুদ্ধ বিমানে, একনজরে সেরা কিছু ঝলক
US fighter jets: ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বায়ুসেনা কর্মী - আধিকারিক মিলিয়ে মোট ৫৬৪ জন এই দু'সপ্তাহের মহড়ায় অংশ নিয়েছেন।
কলকাতা: ভারত-আমেরিকা প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে (Indo-US relations) আরও পোক্ত করতে গত ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছিল ‘কোপইন্ডিয়া ২০২৩’। যেখানে ভারতের সেরা তিন যুদ্ধবিমান (Fighter Jet) সুখোই ৩০ এমকেআই, জাগুয়ার, মিরাজ ২০০০-এর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মহড়ায় সামিল ভারতের হাতে আসা নয়া স্ট্রাটেজিক বোমারু যুদ্ধবিমান রাফাল এবং নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট তেজস।
হাসিমারা থেকে বেশ কয়েকটি রাফাল যুদ্ধবিমান উড়িয়ে নিয়ে আসা হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে। এদিন ভারতের হাতে থাকা শক্তিশালী এই যুদ্ধবিমান গুলির সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে মহড়া চালাল মার্কিন যুদ্ধবিমান এফ ১৫- ই স্ট্রাইক ইগল, বি ওয়ান বি স্ট্রাটেজিক বোমারু বিমান, সি ১৩০ জে, এম সি ১৩০ জে, সি - ১৭ গ্লোব মাস্টার। যা মার্কিন বায়ুসেনার অন্যতম শক্তি।
এই মহড়া চলাকালীন এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে মার্কিন বায়ুসেনার এই মহড়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক লেফটেন্যান্ট কর্নেল বেন্ডার জিফর্ড বললেন, “ইন্দো-প্যাসিফিক রিজিয়নের উপরে আমরা এই মহড়ার মাধ্যমে চাপ রাখতে চাই এবং নিজেদের শক্তি সম্পর্কে বার্তা দিতে আগ্রহী। আমরা পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অন্তর্গত এই কলাইকুন্ডা এবং পানাগড় বায়ু সেনাঘাঁটিতে নিজেদের শক্তিধর বিমানগুলিকে নিয়ে এসেছি।”
তিনি আরও বলেন, “এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, এফ ১৫- ই স্ট্রাইক ইগল, বি ওয়ান বি স্ট্রাটেজিক বোমারু বিমান। দু'জনের এই মহড়ার মাধ্যমে সম্পর্ক আরও অটুট করাই আমাদের লক্ষ্য।”
যদিও প্রতিরক্ষা বিশারদদের বক্তব্য, দেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তে যেভাবে চিনের জিনপিং প্রশাসন দাদাগিরি দেখানোর চেষ্টা করছে এবং দক্ষিণ চিন মহাসাগরে একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েমের লক্ষ্যে অবিচল, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে দেশের পূর্ব সীমান্তের পানাগড় এবং কলাইকুন্ডা বায়ুখানা ঘাঁটিতে এই মহড়া সাবেকভাবেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতীয় বায়ুসেনা সূত্রে খবর, আগ্রা, পানাগড় এবং কলাইকুন্ডা বায়ু সেনাঘাঁটিতে এই মহড়া চলল গত দু'সপ্তাহ ধরে। মোট ২৪ টি যুদ্ধবিমান এবং বায়ুসেনার ৮ টি যুদ্ধ সরঞ্জামবাহী বিমান অংশ নিয়েছিল।
এছাড়া দু'দেশের বায়ুসেনার স্পেশাল ফোর্স ছিল। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বায়ুসেনা কর্মী - আধিকারিক মিলিয়ে মোট ৫৬৪ জন এই দু'সপ্তাহের মহড়ায় অংশ নিয়েছেন।
মিসাইল ও অস্ত্রবাহী বিমান এবং যুদ্ধ সরঞ্জামবাহী বিমানগুলির মধ্যে ছিল ৬টি রাফাল, ৬টি সুখোই ৩০ এমকেআই, ৪টি তেজস ৪টি জাগুয়ার, ৪টি এফ ১৫- ই স্ট্রাইক ইগল, ৬টি সি১৩০জে হারকিউলিস, ২টি সি-১৭ গ্লোব মাস্টার, ১টি আইএল ৭৬-এওএক্স, ১টি ই আর জে - ১৪৫ এ ই ডাবলু এন্ড সি।