কংক্রিটের শহরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে সারি সারি ফ্ল্যাট। সেখানে সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠার কোনও প্রশ্নই নেই। আর যাঁদের দু-তিন তলা বাড়ি, তাঁরাও দিনে দু'বারের বেশি সিঁড়ি ভাঙতে চান না। কিন্তু আপনি সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করেন, তাহলে আর জিমে গিয়ে কসরত করতে হবে না।
সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে স্বাস্থ্যে হাজারো উপকারিতা মেলে। এটি মাংসপেশির গঠনে এবং ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ট্রেডমিল ছেড়ে আপনি যদি দিনে কয়েকবার সিঁড়িতে ওঠানামা করেন, তাহলেই ঝরে যাবে কোমরের মেদ।
মাঠে দৌড়ানো বা জগিং করতে যাওয়ার সময় নেই? মাংসপেশিকে সক্রিয় রাখতে বাড়ির সিঁড়িতেই ওঠানামা করুন। সমতলে হাঁটার চাইতে সিঁড়িতে ওঠানামা করলে মাংসপেশির আরও বেশি সক্রিয় থাকে। এবং পেশির কার্যকারিতা ভাল থাকে।
সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করা এক ধরনের কার্ডিয়োভাস্কুলার এক্সারসাইজ। আপনি যত বেশি সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করবেন আপনার মেটাবলিজম রেট বৃদ্ধি পাবে। এতে ওজন কমানো সহজ হয়। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলেই আপনার ওজন কমবে।
সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে দেহে ভারসাম্য ঠিক থাকে। পায়ের স্থির পেশি, গোড়ালি এবং পেরোনাল টেনডন দেহের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। আর এই কাজটা আরও সহজ হয়ে যায় যখন আপনি সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা বেশি করেন।
সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে শুধু যে হাড়ের স্বাস্থ্য মজবুত হয়, তা নয়। এতে হার্টের স্বাস্থ্যও ভাল থাকে। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ধমনীতে রক্ত সঞ্চালন ভাল থাকে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
সদ্য টাইপ-২ ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে? ডাক্তার দু'বেলা নিয়ম করে হাঁটতে বলেছেন? বাড়িতে যদি সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করেন তাহলেই অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে রক্তে শর্করার মাত্রা। অর্থাৎ সুগার রোগীদের সুস্থ থাকতে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করা দরকার।
সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে ভাল থাকে মনও। আসলে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, যার জেরে হরমোনের ভারসাম্যও বজায় থাকে। আর এই কারণে মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত হয়। অর্থাৎ মানসিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পায়।