
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম PCOS-এর সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা হলেই এই সব সমস্যা বেশি বাড়ে। লকডাউন পরবর্তী সময়ে এই সমস্যা আরও অনেক বেশি বেড়েছে। প্রায় ৮০ শতাংশ মহিলাই এখন ভুগছেন পিসিওএস-এ।

ওজন বেড়ে যাওয়া, অনিয়মিত পিরিয়ডস, চুল পড়ে যাওয়া, ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়া এই রোগের অন্য়তম লক্ষণ। অধিকাংশ ক্ষেত্রে হরমোনের ভারসাম্যহীনতাই এর প্রধান কারণ। আবার কারোও ক্ষেত্রে এই সমস্যা জিনগত। এই রোগ নির্মূল হয় না। তবে জীবনধারায় পরিবর্তন এনে বাগে আনা সম্ভব এই সমস্যা।

বর্তমীন জীবনযাত্রা, কোনও রকম শরীরচর্চা না করা, অতিরিক্ত পরিমাণে ফাস্টফুড খাওয়া এই সবই দায়ী পিসিওএসের জন্য। তাই এই সমস্যা হলে যেমন ফেলে রাখবেন না তেমনই সুষম আহার, নিয়মিত ভাবে শরীরচর্চা এসবও করতে হবে। ওজন কমিয়ে ফেলতে পারলে এই সমস্যা থেকে অনেকখানি মুক্তি পাওয়া যায়। পাশাপাশি ডায়েটে যোগ করুন কিছু বীজ, যা আপনাকে এই সমস্য়া থেকে মুক্তি দেবে।

চিয়া বীজ: এই বিশেষ বীজে ২০ শতাংশ প্রোটিন, ৬০ শতাংশ ওমেগা থ্রি অ্যাসিড রয়েছে। যা টেস্টস্টেরনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এবং জরারুর স্বাস্থ্যের জন্যও এটি ভীষণ উপকারী।

মেথি: কোলেস্টেরল ও হরমোন নিয়ন্ত্রণে মেথির জুড়ি নেই। এতে স্যাপোনিন্স ও ফ্ল্যাভোনয়েডস রয়েছে যা মেটাবলিসম রেট ঠিক রাখে সেই সঙ্গেই শরীরে হরমোনের ভারসাম্য় নিয়ন্ত্রণ করে।

কুমড়োর বীজ: বীটা সিটোস্টেরলে সমৃদ্ধ কুমড়োর বীজ শরীরে টেস্টস্টেরনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে। সেই সঙ্গেই কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখে।

ফ্ল্যাক্স সিড: শরীরে অ্যান্ড্রোজেনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে ফ্ল্যাক্স সিড। এবং মহিলাদের শরীরে হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে।

সূর্যমুখী বীজ: পিসিওএস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে সূর্যমুখী বীজ। এতে ভিটামিন E, ম্যাগনেশিয়াম, সেলেনিয়াম রয়েছে যা প্রোজেস্টেরন ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে।

পোস্ত দানা: এই বীজে ক্য়ালশিয়াম, ম্য়াগনেশিয়াম, ভিটামিন B ও জিঙ্ক রয়েছে যা পিসিওএসের সমস্যা সঙ্গে শরীরকে লড়তে সাহায্য করে।