
রুটি, লুচি বা পায়েসের সঙ্গে সিমাইয়ের পায়েস খেতে দারুণ লাগে। এছাড়াও এমন অনেকেই আছেন যাঁরা চালের পায়েসের পরিবর্তে সিমাই এর পায়েসই বেশি ভালবাসেন।

গাওয়া ঘি দিয়ে সিমাই ভেজে তারপর দুধ ঘন করে ফুটিয়ে পায়েস বানানো হয়। পায়েস মানেই মিষ্টি আর মিষ্টির মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি থাকে। ফলে যাঁরা ডায়েট করছেন তাঁরা এই পায়েস খেতে পারেন না।

পরিবর্তে সিমাই দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন এই রকম উপমাও। এই উপমা স্বাদে হেলদি আর বানানোও বেশ সহজ। যাঁরা ডায়েট করছেন তাঁরা তো খেতে পারবেনই দিতে পারবেন বাচ্চাদের টিফিনেও।

আলু, গাজর, ক্যাপসিকাম, ফুলকপি এসব একদম কুচি কুচি করে কাটুন। পেঁয়াজ স্লাইস করে নিন। কাঁচালঙ্কা কুচি করে রাখুন।

সাদা তেলে সরষে ফোড়ন, কারিপাতা, পেঁয়াজ কুচি আর কাঁচা লঙ্কা দিয়ে নেড়ে নিন। এবার এর মধ্য়ে বাকি সবজি আর স্বাদমতো নুন মিশিয়ে নিন। খুব বেশি নুন দেবেন না।

এবার এর মধ্যে ভেজে রাখা সিমাই মিশিয়ে দিন। এরপর এক কাপ গরম জল মিশিয়ে সিমাই সিদ্ধ হতে দিন। বেশ ভাজা ভাজা হয়ে এলে আগে থেকে ভেজে রাখা বাদাম আর কিশমিশ মিশিয়ে দিন।

এই সেমাই কিন্তু বেশ ঝরঝরে হবে। স্বাদমতো অল্প মিষ্টিও দেবেন। গরম গরম খেতে খুবই ভাল লাগে। চাইলে একটু ঘি বা মাখনও ছড়িয়ে দিতে পারেন।

নামানোর আগে লেবুর রস ছড়িয়ে দিন। ঝাল ঝাল এই উপমা খেতে বেশ ভাল লাগে। টিফিনে মাঝে মধ্যে বানিয়ে নিন। স্বাদ বদল হবে আর গরম চা বা কফির সঙ্গেএ কিন্তু বেশ লাগে।