মানুষ আগের তুলনায় অনেক স্বাস্থ্যসচেতন । সময়ের প্রয়োজনে কোন কোন স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন, সেই নিয়ে উত্সাহের শেষ নেই। তবে ভারতীয় হেঁসেলে যে সব খাবার ও মশলা মজুত থাকে তা অত্যন্ত পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর।
তবে মটরশুঁটি শিশু থেকে বুড়ো, সকলের কাছে জনপ্রিয়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, স্যুপ বা তরকারি রান্নার পরিবর্তে মটর প্রোটিন অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর।
গ্রিন প্রোটিনের সিইও ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা মাধবী দাতওয়ানিএই প্রোটিন পানীয় সম্পর্কে অনেক তথ্য প্রদান করেছেন। তাঁর মতে, মটর প্রোটিন হল একধরনের মসুর ডাল থেকে উদ্ভূত হয়। এটি প্রোটিনের পরিপূরক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। স্মুদি, শেকস, এনার্জি বেভারেজের জন্য এর কোনও বিকল্প নেই।
মটরশুটিতে সমস্ত প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। কঠোর অনুশীলনের পরে পেশী টিস্যুগুলি মেরামত এবং পুনর্নির্মাণের জন্য উপযুক্ত। ব্যায়াম করার পরে যখন আপনার পেশীর টিস্যু ছিঁড়ে যায়, তখন মটর প্রোটিন সঠিক অ্যামিনো অ্যাসিডের অবিলম্বে সরবরাহ করে।
শরীরে শক্তি উত্পাদন করতে, পুষ্টি সরবরাহ করতে, এনজাইম সরবরাহ করতে মটর প্রোটিনের ব্যবহার অপরিহার্য। অন্ত্রের স্বাভাবিক কাজকর্মগুলি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে।
সব ধরনের ডায়েটের জন্য এই প্রোটিন খুবই উপকারী। প্রাকৃতিকভাবে নিরামিষাশী এবং গ্লুটেন-মুক্ত, মটর প্রোটিনে কোনও অ্যালার্জি সৃষ্টি হয় না। গম, ডিম, চিনাবাদাম-মুক্ত। এতে রয়েছে শুধু খাঁটি মটরশুঁটি। খিদে বাড়াতে ও ডায়েটে প্রোটিনের যোগান দিতে সাহায্য করে।
মটর থেকে পাওয়া প্রোটিন কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, রক্তচাপ কমাতেও সহায়তা করে। হৃদরোগে আক্রান্ত যাঁরা, মটর প্রোটিনের পানীয় তাঁদের জন্য বেশ উপকারী।
ওজন নিয়ন্ত্রণে ও ক্ষুধা বৃদ্ধিতে এই প্রোটিন বেশ উপকারী। কম-ক্যালোরির এই স্বাস্থ্যকর পানীয়টি দেহের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে ও পেট ভরে রাখতে সাহায্য করে।