
কোলেস্টেরল এমন একটি সমস্যা, যার কারণে আপনার চোখ, ত্বক এমনকী হার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল জমা হতে শুরু করলে এটি শরীরে নানা জটিলতা তৈরি করে। কিন্তু সমস্যা হল, সহজে এই রোগ ধরা পড়ে না।

কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে তার কিছু লক্ষণ শরীরে প্রকাশ পায়। কিন্তু সেই লক্ষণগুলো খুব একটা জোড়ালো না হলে কেউই নড়েচড়ে বসেন না। ফলে অবস্থার অবনতি হতে খুব বেশি সময় নেয় না।

তাছাড়া সব সময় উপসর্গ দেখে রোগ নির্ণয় করা যায় না। আপনার রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ছে কি না তা বোঝার জন্য রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করালেই ধরা পড়ে যাবে কোলেস্টেরলের মাত্রা।

সমস্যা হল, এই লিপিড প্রোফাইলও মানুষ সহজে টেস্ট করান না। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, ৩০ পেরোলেই এই পরীক্ষা করানো জরুরি। যেহেতু এখন কম বয়সিদের মধ্যে নানা রোগ বাড়ছে তাই ৩০-এর আগেও লিপিড প্রোফাইল টেস্ট করাতে পারেন।

যদি আপনার কোনও শারীরিক সমস্যা না থাকে, তাহলে অন্তত ৪ থেকে ৬ বছর অন্তর লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করানো উচিত। এতে আপনার রক্তে যদি কোলেস্টেরলের মাত্রা তাহলে তা সহজেই ধরা পড়ে যাবে।

সাধারণত ৪৫ থেকে ৭৫ বছর বয়সিদের মধ্যে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে। কিন্তু বর্তমানে অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া ও লাইফস্টাইলের কারণে কম বয়সিদের মধ্যেও এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাছাড়া কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।