পটল আলু কুমড়োর তরকারি বাঙালির প্রায় প্রতিটি ঘরে রন্ধিত হয়। কুমড়ো স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। এর পাশাপাশি যদি কুমড়োর বীজও খাওয়া যায়, তাতেও শরীরের ওপর দারুণ প্রভাব ফেলে। কিন্তু প্রতিদিন বেশি পরিমাণে কুমড়ো খেয়ে ফেললে হিতে-বিপরীতও হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছে, ১০০ গ্রামের বেশি কুমড়ো খেলে স্বাস্থ্যের ওপর কু-প্রভাব পড়ে। এতে ওজন বেড়ে যেতে পারে। কারণ এই সবজিতে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি। যদি আপনি ওজন কমাতে চান, তাহলে বেশি কুমড়ো খাবেন না।
খিদের মুখে কুমড়ো খেলে পেট ভরে ঠিকই। কিন্তু হজমের সমস্যা থাকলে বেশি কুমড়ো না খাওয়াই ভাল। কারণ কুমড়ো হজম হতে বেশি সময় নেয়। বেশি পরিমাণে কুমড়ো খেলে পেট খারাপের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এই নিয়ে মতভেদ রয়েছে যে, ডায়াবেটিসের রোগীরা কুমড়ো খেতে পারবেন কি না। গবেষণা বলছে ডায়াবেটিসের রোগীরা নিশ্চিন্তে কুমড়ো খেতে পারেন। কুমড়ো রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয়। কিন্তু খেয়াল রাখবেন, কুমড়ো হঠাৎ করে শর্করার মাত্রা কমিয়েও দিতে পারে।
ডায়াবেটিসের রোগীদের মধ্যে অনেক সময় সুগার ফল্টের সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা থাকলে বেশি পরিমাণে কুমড়ো খাবেন না। রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে কমে গেলে শরীরে অস্বস্তি দেখা দিতে পারে। তাই সাবধান থাকুন।
উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কুমড়োর বীজ ভীষণ কার্যকর। কিন্তু আপনার যদি নিম্ন রক্তচাপ হয় কিংবা স্বাভাবিক রক্তচাপ থাকে তাহলে বেশি কুমড়ো খাবেন না। বেশি পরিমাণে কুমড়ো খেলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণে কমে যেতে পারে রক্তচাপ।