World Breastfeeding Week: বাড়িতে একরত্তিকে রেখে চাকরিতে যোগ দেবেন ভাবছেন? তার আগে মায়েরা কীভাবে ব্যবস্থা নেবেন, জানুন
TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস
Aug 07, 2022 | 6:24 PM
Tips For Working Mothers: কথাতেই আছে, মা হওয়া কি মুখের কথা! একজন সদ্য মা হওয়ার পরই জীবনের সব মোড়গুলিই হঠাত করে পাল্টে যায়। আর সেই বদলে যাওয়া মুহূর্তগুলি যেন আরও আঁকড়ে ধরে থাকার চেষ্টা থাকে। কিন্তু একটা সময় আসে,যখন দুধের শিশুকে বাড়িতে রেখে নিজের কর্মব্যস্ততার জীবনে ফিরে যাওয়ার ডাক আসে।
1 / 7
দীর্ঘ একটি পথ শিশুর লালন-পালনের পর অন্যের হাতে সঁপে চলে যাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। সব মহিলারাই মা হওয়ার পর পুরনো চাকরি জীবনে ফিরে যেতে চায়। কিন্তু সবসময় মাথায় একটাই চিন্তা থাকে, কীভাবে কেউ তার মত দেখভাল করবে, দেখাশোনা করবে, সময়মত ব্রেস্টমিল্কটা অন্তত খাওয়াবে, এই চিন্তাগুলোই মনের কোণে জাগতে থাকে।
2 / 7
একটি শিশুর বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় পুষ্টি হল স্তনদুগ্ধ। যা শিশুকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও বিকাশের ক্ষেত্রে সর্বপরি সহায়তা করে। সব মায়েদেরই একটি স্বাভাবিক নিয়ম রয়েছে। স্তন্যপান করানো একটি প্রাকৃতিক বিষয়। তাই সবচেয়ে সমস্যার সম্মুখীন হয় কর্মজীবী মহিলারা।
3 / 7
মানসিক, শারীরিক ও অন্যান্য চাপের কাছে মাথা নত করেই শিশুর জন্য একজন মা সব কিছু সামলে রাখেন। কর্মক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রেখে, শিশুকে বাড়িতে রেখে ও সময়মত তার ব্রেস্টমিল্কের জোগান আদৌও হচ্ছে কিনা, তা দেখা সব ওয়ার্কিং মায়েদের একটি রুটিনের মধ্যে পড়ে যায়।
4 / 7
কিন্তু আপনি যদি সদ্য় মা হয়ে কাজে ফিরতে চান, তাহলে এখন থেকেই ব্যবস্থা নেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করতে হবে। পরিস্থিতিগুলি যাতে মসৃণ হয়, সহজ উপায়ে সব দিক সামলানো যায়, আবার শিশু যাতে পর্যাপ্ত স্তন্যদুগ্ধ পান করতে পারে সেদিকেও নজর রাখা দরকার। এমনকি যে সন্তানকে দেখাশোনা করবে, তাকেও সব কিছু সরগড় করতেও সহায়তা করা দরকার।
5 / 7
অফিসে জয়েন করার আগে থেকেই স্তন্যদুগ্ধ বোতলে সংরক্ষণ করা শুরু করুন। বর্তমানে নয়া প্রযুক্তির জন্য ব্রেস্টমিল্ক ফ্রিজে সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছেয ব্রেস্ট মাম্পের মাধ্যমে দুধ সংরক্ষণ করে ঘরের তাপমাত্রায় ও রেফ্রিজেরেটরে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। এই দুধ ৬ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। অফিসে গেলেও আপনার সন্তানকে যিনি দেখাশোনা করছেন, তারাও শিশুকে ব্রেস্টমিস্ক খাওয়াতেপারবেন।
6 / 7
সন্তানধারণের পর কাজে যোগদান করা কোনও ভাবেই সহজ কাজ নয়। সব চাপ প্রতিরোধ্য করা, মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। একা শিশুকে বড় করে তোলা কঠিন। পরিবার ও বন্ধুদের কাছ থেকে সাহায্য নিতে কুন্ঠাবোধ করবেন না। জীবনকে আরও সহজ করে তুলতে স্বামীকেও কাজে লাগান। দুজনে মিলেই সবদিক সামলনোর পরিকল্পনা করুন। তাতে শিশু ও পরিবার সুখে থাকে।
7 / 7
প্রতিদিন শিশুরে দুধ খাওয়ানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় ধারণ করার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কাজের জন্য যাওয়ার ছিক আগে শিশুকে খাওয়ান ও ফিরে আসার পর ফের একবার শিশুকে খাওয়ান। তাতে সন্তানের সঙ্গে সংযোগও করতে পারবেন দুর্দান্ত উপায়ে।