বাংলা আমার অন্তরের অন্তঃস্থলে, বহিরাগত বললে খারাপ লাগে: জেপি নাড্ডা

সৌরভ পাল |

Feb 09, 2021 | 8:04 PM

“বিজেপি এবং বিকাশ একে অপরের পরিপূরক। মোদীজি এবং সুপ্রশাসন সমার্থক শব্দ। আমরা যেখানে আছি এবং যেখানে ক্ষমতায় আসব সেখানেই উন্নয়ন করব।”

Follow Us

বীরভূম: ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয়বার বঙ্গ সফরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। ৬ তারিখ সাহাপুরে দলীয় কর্মসূচি সেরে নবদ্বীপ গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে দর্শন করেছিলেন শ্রীচৈতন্য ধাম। আজ আবার সেই ‘মন্দির নগরী’ কালনায় সভা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অন্যদিকে মঙ্গলবারই বীরভূমে গিয়ে তারাপীঠ মন্দিরে তারা মায়ের দর্শন করে পুজো দিলেন জেপি নাড্ডা। তারপর গেরুয়া পতাকা উড়িয়ে শুভারম্ভ করলেন পরিবর্তন যাত্রার (Parivartan Yatra)। এই সফর সূচির মধ্যেই TV9 বাংলার মুখোমুখি হলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। সওয়াল জবাবে বিঁধলেন ‘পিসি-ভাইপো’-কে। একই সঙ্গে ব্যক্ত করলেন বাংলার প্রতি তাঁর আবেগানুভূতি।

অতি সম্প্রতি একাধিক সভা থেকে জেপি নাড্ডাকে ‘বহিরাগত’ বলে আক্রমণ করছেন তৃণমূল নেতারা। আক্রমণের অগ্রভাগে অবশ্যই রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাল মিলিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারাও। এ দিন সেই ‘বহিরাগত’ প্রশ্নের জবাবে নাড্ডার জবাব, “আমি যেখানে বড় হয়েছি, সেটা আগাগোড়াই ছিল একটা বাঙালি পাড়া। পরে তো বাংলার জামাইও হলাম। বিয়ে করতে এসেছিলাম পাঞ্জাবি আর টোপর পরে। বাংলা রয়েছে আমার অন্তরের অন্তঃস্থলে। তাই আমাকে বহিরাগত বললে স্বাভাবিকভাবেই খারাপ লাগে এবং তা সত্যিও নয়।”

আরও পড়ুন: ‘বাংলার সংস্কৃতি তো আপনার ভাইপোই ডুবিয়ে দিচ্ছে’, কুকথা নিয়ে মমতাকে খোঁচা নাড্ডার

এই প্রসঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে TV9 বাংলাকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, “মমতা ব্যানার্জি বাংলার প্রতিনিধিত্ব করেছন না। বরং বাংলার ভাবমূর্তি নষ্ট করারই প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি।” জেপি নাড্ডার কথায়, “বাংলার প্রতিনিধিত্ব করেছেন বঙ্কিমচন্দ্র, বিবেকানন্দ, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শ্রী অরবিন্দ, শ্যামাপ্রসাদ। মমতা ব্যানার্জি বাংলার প্রতিনিধি নন।”

রাজ্যের শাসকদলের নেতাদের অভিযোগ, সামনেই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোট, বাঙালি ভাবাবেগকে কাজে লাগাতেই আপনারা বাংলার মনীষীদের নাম করেন। এই অভিযোগ কতটা সত্যি? জেপি নাড্ডার জবাব, “বিগত ৫ বছরে নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ শুনুন আর মমতা ব্যানার্জির বক্তব্য শুনুন। তাহলেই প্রমাণ হয়ে যাবে কে সব থেকে বেশি বাঙালি মনীষীদের কথা বলেন।”

আরও পড়ুন: ‘মা তারা মানুষকে যেতে না করে দিয়েছে, তাই নাড্ডার সভায় ভিড় হয়নি’

ইদানীং আপনার প্রতিটি সভায় দু’টি শব্দবন্ধ এক নিঃশ্বাসে সমোচ্চারিত হয়। ‘পিসি-ভাইপো’। কেন এতবার করে এই শব্দবন্ধের উচ্চারণ করেন? কোনও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব না রেখেই জেপি নাড্ডার উত্তর, “তাঁরা এমন এমন কাজ করেছেন যে নাম নিতেই হয়। বাংলায় কৃষক নিধি সম্মান কে আটকেছে? কে বাংলায় আয়ুষ্মান প্রকল্প চালু করতে দিচ্ছে না? পিসি-ভাইপো বাংলার উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে।”

পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এলে কী করবেন? যুবদের জন্য কী বার্তা দেবেন? জেপি নাড্ডা বলেন, “বিজেপি এবং বিকাশ একে অপরের পরিপূরক। মোদীজি এবং সুপ্রশাসন সমার্থক শব্দ। আমরা যেখানে আছি এবং যেখানে ক্ষমতায় আসব সেখানেই উন্নয়ন করব।”

 

বীরভূম: ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয়বার বঙ্গ সফরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। ৬ তারিখ সাহাপুরে দলীয় কর্মসূচি সেরে নবদ্বীপ গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে দর্শন করেছিলেন শ্রীচৈতন্য ধাম। আজ আবার সেই ‘মন্দির নগরী’ কালনায় সভা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অন্যদিকে মঙ্গলবারই বীরভূমে গিয়ে তারাপীঠ মন্দিরে তারা মায়ের দর্শন করে পুজো দিলেন জেপি নাড্ডা। তারপর গেরুয়া পতাকা উড়িয়ে শুভারম্ভ করলেন পরিবর্তন যাত্রার (Parivartan Yatra)। এই সফর সূচির মধ্যেই TV9 বাংলার মুখোমুখি হলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। সওয়াল জবাবে বিঁধলেন ‘পিসি-ভাইপো’-কে। একই সঙ্গে ব্যক্ত করলেন বাংলার প্রতি তাঁর আবেগানুভূতি।

অতি সম্প্রতি একাধিক সভা থেকে জেপি নাড্ডাকে ‘বহিরাগত’ বলে আক্রমণ করছেন তৃণমূল নেতারা। আক্রমণের অগ্রভাগে অবশ্যই রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাল মিলিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারাও। এ দিন সেই ‘বহিরাগত’ প্রশ্নের জবাবে নাড্ডার জবাব, “আমি যেখানে বড় হয়েছি, সেটা আগাগোড়াই ছিল একটা বাঙালি পাড়া। পরে তো বাংলার জামাইও হলাম। বিয়ে করতে এসেছিলাম পাঞ্জাবি আর টোপর পরে। বাংলা রয়েছে আমার অন্তরের অন্তঃস্থলে। তাই আমাকে বহিরাগত বললে স্বাভাবিকভাবেই খারাপ লাগে এবং তা সত্যিও নয়।”

আরও পড়ুন: ‘বাংলার সংস্কৃতি তো আপনার ভাইপোই ডুবিয়ে দিচ্ছে’, কুকথা নিয়ে মমতাকে খোঁচা নাড্ডার

এই প্রসঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে TV9 বাংলাকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, “মমতা ব্যানার্জি বাংলার প্রতিনিধিত্ব করেছন না। বরং বাংলার ভাবমূর্তি নষ্ট করারই প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি।” জেপি নাড্ডার কথায়, “বাংলার প্রতিনিধিত্ব করেছেন বঙ্কিমচন্দ্র, বিবেকানন্দ, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শ্রী অরবিন্দ, শ্যামাপ্রসাদ। মমতা ব্যানার্জি বাংলার প্রতিনিধি নন।”

রাজ্যের শাসকদলের নেতাদের অভিযোগ, সামনেই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোট, বাঙালি ভাবাবেগকে কাজে লাগাতেই আপনারা বাংলার মনীষীদের নাম করেন। এই অভিযোগ কতটা সত্যি? জেপি নাড্ডার জবাব, “বিগত ৫ বছরে নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ শুনুন আর মমতা ব্যানার্জির বক্তব্য শুনুন। তাহলেই প্রমাণ হয়ে যাবে কে সব থেকে বেশি বাঙালি মনীষীদের কথা বলেন।”

আরও পড়ুন: ‘মা তারা মানুষকে যেতে না করে দিয়েছে, তাই নাড্ডার সভায় ভিড় হয়নি’

ইদানীং আপনার প্রতিটি সভায় দু’টি শব্দবন্ধ এক নিঃশ্বাসে সমোচ্চারিত হয়। ‘পিসি-ভাইপো’। কেন এতবার করে এই শব্দবন্ধের উচ্চারণ করেন? কোনও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব না রেখেই জেপি নাড্ডার উত্তর, “তাঁরা এমন এমন কাজ করেছেন যে নাম নিতেই হয়। বাংলায় কৃষক নিধি সম্মান কে আটকেছে? কে বাংলায় আয়ুষ্মান প্রকল্প চালু করতে দিচ্ছে না? পিসি-ভাইপো বাংলার উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে।”

পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এলে কী করবেন? যুবদের জন্য কী বার্তা দেবেন? জেপি নাড্ডা বলেন, “বিজেপি এবং বিকাশ একে অপরের পরিপূরক। মোদীজি এবং সুপ্রশাসন সমার্থক শব্দ। আমরা যেখানে আছি এবং যেখানে ক্ষমতায় আসব সেখানেই উন্নয়ন করব।”

 

Next Article