Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

গুরুংয়ের নিভৃতবাস থেকে মুক্ত মঞ্চ, সবই কি মমতার ‘সৌজন্যে’! ফ্ল্যাশব্যাক এক নজরে

কীভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোটসঙ্গী থেকে ‘দেশদ্রোহী’ হয়ে উঠেছিলেন বিমল? কীভাবেই বা ফের মমতাকে একুশের ভোটে জেতানোর জন্য উঠেপড়ে লাগলেন? এক নজরে গুরুংয়ের এই রোমাঞ্চকর যাত্রার ফ্ল্যাশব্যাক

| Updated on: Dec 06, 2020 | 9:12 PM
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সৌজন্যেই’ খোলা হাওয়ায় শ্বাস নিতে পারছেন বিমল গুরুং। প্রায় সাড়ে তিন বছর ফেরার থাকার পর এদিন শিলিগুড়ির গান্ধী ময়দানের সভায় উপস্থিত হয়ে তা অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন ইউএপিএ মামলায় অভিযুক্ত গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার এই নেতা। এটা সত্যি যে রাজনীতির ময়দানে এখনও বড় ইনিংস খেলা হয়নি বিমল গুরুংয়ের। তবে যে ধরনের রংবদল তিনি দেখিয়েছেন, তাতে আগামী সময় রাজ্য রাজনীতিতে তিনি বড় ধরনের ভূমিকা নেবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। কিন্তু, কীভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোটসঙ্গী থেকে ‘দেশদ্রোহী’ হয়ে উঠেছিলেন বিমল? কীভাবেই বা ফের মমতাকে একুশের ভোটে জেতানোর জন্য উঠেপড়ে লাগলেন? এক নজরে গুরুংয়ের এই রোমাঞ্চকর যাত্রার ফ্ল্যাশব্যাক।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সৌজন্যেই’ খোলা হাওয়ায় শ্বাস নিতে পারছেন বিমল গুরুং। প্রায় সাড়ে তিন বছর ফেরার থাকার পর এদিন শিলিগুড়ির গান্ধী ময়দানের সভায় উপস্থিত হয়ে তা অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন ইউএপিএ মামলায় অভিযুক্ত গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার এই নেতা। এটা সত্যি যে রাজনীতির ময়দানে এখনও বড় ইনিংস খেলা হয়নি বিমল গুরুংয়ের। তবে যে ধরনের রংবদল তিনি দেখিয়েছেন, তাতে আগামী সময় রাজ্য রাজনীতিতে তিনি বড় ধরনের ভূমিকা নেবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। কিন্তু, কীভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোটসঙ্গী থেকে ‘দেশদ্রোহী’ হয়ে উঠেছিলেন বিমল? কীভাবেই বা ফের মমতাকে একুশের ভোটে জেতানোর জন্য উঠেপড়ে লাগলেন? এক নজরে গুরুংয়ের এই রোমাঞ্চকর যাত্রার ফ্ল্যাশব্যাক।

1 / 8
মমতার ও গুরুংয়ের রাজনৈতিক সমীকরণ সর্বদাই নরমে-গরমে থাকলেও ২০১৭ সালের অগস্ট মাসের সময় থেকে তা চরম আকার ধারণ করে। গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে বিমল গুরুংয়ের একগুঁয়ে মনভাব পাহাড়ে অচলাবস্থা এনে দেয়। জায়গায় জায়গায় চলতে থাকে তাণ্ডব। অক্টোবরে বিমলকে খুঁজতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর অমিতাভ মালিকের মৃত্যু এক ধাক্কায় উল্টে দেয় সব হিসেব-নিকেশ।

মমতার ও গুরুংয়ের রাজনৈতিক সমীকরণ সর্বদাই নরমে-গরমে থাকলেও ২০১৭ সালের অগস্ট মাসের সময় থেকে তা চরম আকার ধারণ করে। গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে বিমল গুরুংয়ের একগুঁয়ে মনভাব পাহাড়ে অচলাবস্থা এনে দেয়। জায়গায় জায়গায় চলতে থাকে তাণ্ডব। অক্টোবরে বিমলকে খুঁজতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর অমিতাভ মালিকের মৃত্যু এক ধাক্কায় উল্টে দেয় সব হিসেব-নিকেশ।

2 / 8
বিমল গুরুংকে ইউএপিএ ধারায়, অর্থাৎ ‘দেশদ্রোহিতার’ অভিযোগে অভিযুক্ত করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। তাঁকে ধরার জন্য চিরুনিতল্লাশি চালানো হয় পাহাড়ের কোণায় কোণায়। তবে গুরুংয়ের খোঁজ মেলেনি কোনও ভাবেই। মাঝে মধ্যে গোপন ডেরা থেকে তাঁর প্রকাশিত অডিয়ো এবং ভিডিয়ো বার্তা মাথাব্যথা আরো বাড়িয়ে দিচ্ছিল রাজ্য প্রশাসনের।

বিমল গুরুংকে ইউএপিএ ধারায়, অর্থাৎ ‘দেশদ্রোহিতার’ অভিযোগে অভিযুক্ত করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। তাঁকে ধরার জন্য চিরুনিতল্লাশি চালানো হয় পাহাড়ের কোণায় কোণায়। তবে গুরুংয়ের খোঁজ মেলেনি কোনও ভাবেই। মাঝে মধ্যে গোপন ডেরা থেকে তাঁর প্রকাশিত অডিয়ো এবং ভিডিয়ো বার্তা মাথাব্যথা আরো বাড়িয়ে দিচ্ছিল রাজ্য প্রশাসনের।

3 / 8
সময় গড়িয়ে চলে। অমিতাভ মালিকের খুনে প্রধান অভিযুক্ত বিমল গুরুং ও তাঁর ছায়াসঙ্গী রোশন গিরি, কাউকেই ধরতে পারে না রাজ্য। সেই সময় বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বিমল গুরুংকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্য নিয়ে রাজ্য প্রশাসন চক্রান্ত করছে। পরবর্তীকালে শোনা যায়, রাজধানী দিল্লির বুকেই নাকি দীর্ঘদিন আস্তানা গেড়েছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার এই নেতা। সেখানে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কেন্দ্রীয় শাসকদলের মদত ছিল বলেও একাধিকবার দাবি করে এসেছে তৃণমূল।

সময় গড়িয়ে চলে। অমিতাভ মালিকের খুনে প্রধান অভিযুক্ত বিমল গুরুং ও তাঁর ছায়াসঙ্গী রোশন গিরি, কাউকেই ধরতে পারে না রাজ্য। সেই সময় বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বিমল গুরুংকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্য নিয়ে রাজ্য প্রশাসন চক্রান্ত করছে। পরবর্তীকালে শোনা যায়, রাজধানী দিল্লির বুকেই নাকি দীর্ঘদিন আস্তানা গেড়েছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার এই নেতা। সেখানে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কেন্দ্রীয় শাসকদলের মদত ছিল বলেও একাধিকবার দাবি করে এসেছে তৃণমূল।

4 / 8
তবে মাসখানেক আগে আচমকাই শহরে উদয় হন এক সময়ের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ও ‘পলাতক’ এই নেতা। সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে দাবি করেন, বিজেপি তাঁর বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে। নিজের পূর্ববর্তী অবস্থান থেকে ১৮০ ডিগ্রি সরে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরার প্রস্তাব তিনি দেন। একইসঙ্গে মমতাকেই তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী দেখার ইচ্ছেপ্রকাশ করেন। বিশেষ আপত্তি দেখায়নি তৃণমূলও।

তবে মাসখানেক আগে আচমকাই শহরে উদয় হন এক সময়ের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ও ‘পলাতক’ এই নেতা। সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে দাবি করেন, বিজেপি তাঁর বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে। নিজের পূর্ববর্তী অবস্থান থেকে ১৮০ ডিগ্রি সরে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরার প্রস্তাব তিনি দেন। একইসঙ্গে মমতাকেই তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী দেখার ইচ্ছেপ্রকাশ করেন। বিশেষ আপত্তি দেখায়নি তৃণমূলও।

5 / 8
বিমলের এই ভোলবদলের কারণ কী তা তিনিই বলতে পারবেন। তবে দীর্ঘদিন বাদে পাহাড়ে তাঁর কামব্যাক এবং আজকের জমকালো সভা যে আগামী সময়ের জন্য রাজনীতির ক্ষেত্রে টার্নিং পয়েন্ট হবে সেটা বিলক্ষণ বলা যায়। বিশেষ করে তৃণমূলের পক্ষে তাঁর প্রকাশ্য সমর্থন যদি হিতে বিপরীত হয়, তখন শ্যাম ও কূল দুই হারানোর ভয়ে থাকছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

বিমলের এই ভোলবদলের কারণ কী তা তিনিই বলতে পারবেন। তবে দীর্ঘদিন বাদে পাহাড়ে তাঁর কামব্যাক এবং আজকের জমকালো সভা যে আগামী সময়ের জন্য রাজনীতির ক্ষেত্রে টার্নিং পয়েন্ট হবে সেটা বিলক্ষণ বলা যায়। বিশেষ করে তৃণমূলের পক্ষে তাঁর প্রকাশ্য সমর্থন যদি হিতে বিপরীত হয়, তখন শ্যাম ও কূল দুই হারানোর ভয়ে থাকছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

6 / 8
রবিবার গান্ধী ময়দানে অনুষ্ঠিত সভায় বিমল গুরুংকে ঘিরে উচ্ছ্বাস ও জনসমাগম ছিল দেখার মতো। চোখ বন্ধ করেই বলা যায়, ধামাকেদার কামব্যাক করেছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার এই নেতা।

রবিবার গান্ধী ময়দানে অনুষ্ঠিত সভায় বিমল গুরুংকে ঘিরে উচ্ছ্বাস ও জনসমাগম ছিল দেখার মতো। চোখ বন্ধ করেই বলা যায়, ধামাকেদার কামব্যাক করেছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার এই নেতা।

7 / 8
তবে এদিনের সভায থেকে বিমল গুরুং একটা বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছেন। উত্তরবঙ্গের প্রতিটি আসনে তৃণমূলকে জেতানো তাঁর উদ্দেশ্য হলেও, গোর্খাল্যান্ডের দাবি থেকে তিনি কোনও ভাবেই সরছেন না। অন্যদিকে তৃণমূল নেত্রী গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে কোনও ভাবেই মান্যতা দিতে রাজি নন। ফলে দুই দলের মধ্যে প্রধান এই মতানৈক্য আগামী সময় যে বহু রং দেখাবে তা সহজেই অনুমেয়।

তবে এদিনের সভায থেকে বিমল গুরুং একটা বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছেন। উত্তরবঙ্গের প্রতিটি আসনে তৃণমূলকে জেতানো তাঁর উদ্দেশ্য হলেও, গোর্খাল্যান্ডের দাবি থেকে তিনি কোনও ভাবেই সরছেন না। অন্যদিকে তৃণমূল নেত্রী গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে কোনও ভাবেই মান্যতা দিতে রাজি নন। ফলে দুই দলের মধ্যে প্রধান এই মতানৈক্য আগামী সময় যে বহু রং দেখাবে তা সহজেই অনুমেয়।

8 / 8
Follow Us: