Mutual Funds or FD: মিউচুয়াল ফান্ড নাকি ফিক্সড ডিপোজিট, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে লাভ বেশি কোথায়?
Mutual Funds or FD : ঝুঁকি নিতে একদমই চান না? তা হলে মিউচুয়াল ফান্ড এড়িয়ে চলা ভাল। এমটাই মত বিশেষজ্ঞদের।
বর্তমানে দীর্ঘ মেয়াদে (Long Term Investment) বড় অঙ্কের লাভ তোলার ক্ষেত্রে বড় মাধ্যম হয়ে উঠেছে মিউচুয়াল ফান্ড (Mutual Fund)। শেয়ার বাজারের (Share Market) ঝুঁকির পাহাড়কে খানিক এড়িয়ে বিনিয়োগ করতেই এই মাধ্যমকে বেছে নিচ্ছেন বহু বিনিয়োগকারী (Investor)। কিন্তু, কষ্টের উপার্জন তো বিনিয়োগ করলেই হল না, সঠিকভাবে তথ্য যাচাই করা অবশ্যই প্রয়োজন। আর এই তথ্য যাচাইয়ের পর্বে হতভম্ব হয়ে পড়েন নতুন বিনিয়োগকারীরা। মনের কোণে গজিয়ে ওঠে একাধিক প্রশ্ন। দীর্ঘ মেয়াদে কোথায় বিনিয়োগ করবেন মিউচুয়াল ফান্ড নাকি ফিক্সড ডিপোজিট (Mutual Funds or FD)? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে বেশিরভাগ সময় দিশাহীন হয়ে পড়েন নতুন বিনিয়োগকারীরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন সাধরণভাবে, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মিউচুয়াল ফান্ড এবং ফিক্সড ডিপোজিট, উভয় মাধ্যমই বেশ লাভজনক। তবে রয়েছে পার্থক্য।
হাতে কত পাবেন?
মিউচুয়াল ফান্ড ও ফিক্সড ডিপোজিট উভয়ের ক্ষেত্রেই রিটার্নের (Return on Investment) হার নির্ভর করে কোন ফান্ডে ও কোন ব্যাঙ্কে আপনি নিজের টাকা ঢালবেন তার উপর। ফিক্সড ডিপোজিটের ক্ষেত্রে তিন মাস থেকে শুরু করে দশ বছর কিংবা পনেরো বছর পর্যন্ত আপনি কোনও ব্যাঙ্কে ফিক্সড অর্থাৎ কোনও তোলা-জমা ছড়া এককালীন ইনভেস্টমেন্টের মাধ্যমে টাকা রাখতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে রিটার্নের হার নির্ভর করবে ঠিক কতটা সময় পর্যন্ত আপনি টাকা রেখেছেন তার উপর।
অন্যদিকে, মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে কোন ফান্ডে টাকা রাখছেন তা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শেয়ার বাজারে সেই ফান্ডের মূল্য বাড়তে থাকলে আপনার বিনিয়োগকৃত অর্থে লাভের পরিমাণও বাড়তে থাকবে। তবে মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রেও টাকা রাখার সময়সীমার উপর রিটার্নের হারও অনেকাংশেই নির্ভরশীল। সাধারণভাবে, ফিক্সড ডিপোজিটে বিনিয়োগকৃত টাকায় রিটার্নের পরিমাণ ২.৫ শতাংশ থেকে ৭.৫ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। অপরদিকে, মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে রিটার্ন বার্ষিক ১০ থেকে ১২ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।
তবে মিউচুয়াল ফান্ড অনেকটাই নমনীয়, সেই তুলনায় ফিক্সড ডিপোজিটের নমনীয়তা একদম নেই বললেই চলে। অর্থাৎ, মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার পরও আপনি যখন-তখন নিজের মন মর্জি মতো সেই বিনিয়োগকৃত অর্থ তুলে নিতে পারবেন। কিন্তু, ফিক্সড ডিপোজিটের ক্ষেত্রে এই সুবিধা পাওয়া বেশ মুশকিল। অধিকাংশ ফিক্সড ডিপোজিটের ক্ষেত্রে যখন-তখন টাকা তুলে নেওয়া প্রায় সাধ্যের বাইরে বললেই চলে। ম্যাচিউরিটি হওয়ার আগেই টাকা তুলে নিলে অনেক সময় ক্ষতির মুখে পড়তে হয় বিনিয়োগকারীকে।
ঝুঁকি কতটা?
ঝুঁকি নিতে একদমই চান না? তা হলে মিউচুয়াল ফান্ড এড়িয়ে চলা ভাল। ঝুঁকির প্রসঙ্গ উঠলেই ফিক্সড ডিপোজিটের থেকে অনেকটা পিছিয়ে পড়তে হয় মিউচুয়াল ফান্ডকে। ফিক্সড ডিপোজিটে ঝুঁকির পরিমাণ একেবারে শূন্য বললেই চলে। অপরদিকে, মিউচুয়াল ফান্ডে এই ঝুঁকির পরিমাণ নির্ভর করে কোন ফান্ডে আপনি বিনিয়োগ করছেন তার উপর। ঝুঁকিপূর্ণ ফান্ডগুলির ক্ষেত্রে রির্টানের পরিমাণ থাকে আকাশছোঁয়া। অন্যদিকে, খুব অল্প মাত্রার ঝুঁকি সম্পন্ন ফান্ডগুলির ক্ষেত্রে রিটার্নের পরিমাণ কিছুটা কমে যায়।
বিঃ দ্রঃ – এটি একটি শেয়ার বাজার এবং বিনিয়োগ সম্পর্কিত শিক্ষামূলক প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য কখনই বিনিয়োগে উৎসাহিত করা বা মুনাফা কামানোর সহজ উপায় খুঁজে দেওয়া নয়। শেয়ার বাজারের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানানোই এই প্রতিবেদনের অন্যতম লক্ষ্য। উল্লেখ্য, শেয়ার বাজারের বিনিয়োগ সর্বদাই ঝুঁকিুপূর্ণ।