Puri Jagannath Temple:‌ রথের আগে বড় সিদ্ধান্ত পুরীর মন্দিরে! জগন্নাথ দর্শনের জন্য় আর দাঁড়াতে হবে না লম্বা লাইনে

Jagannath Temple: কোভিড পরিস্থিতির সময় ভক্তদের ভিড় সামাল দেওয়া জন্য জগন্নাথ পুরীর চারটি দ্বারের মধ্যে তিনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। একটি গেট দিয়েই ভক্তরা প্রবেশ করতে পারতেন। করোনা পরিস্থিতি কেটে গিয়েছে বেশ বছর, তারপর থেকে মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়ার জন্য দাবি উঠছিল। অভিযোগ ছিল, মন্দিরের চার প্রবেশদ্বার বন্ধ থাকার ফলে ভক্তদের অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

Puri Jagannath Temple:‌ রথের আগে বড় সিদ্ধান্ত পুরীর মন্দিরে! জগন্নাথ দর্শনের জন্য় আর দাঁড়াতে হবে না লম্বা লাইনে
Follow Us:
| Updated on: Jun 13, 2024 | 6:52 PM

প্রায় তিন বছর কাটতে চলল, বিদায় নিয়েছে করোনাভাইরাস। কোভিডের সময় মন্দির চত্বরে ভক্তদের ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের চারটি প্রবেশদ্বার। ভোটের পর, ওড়িশা সরকার নিল বড়সর সিদ্ধান্ত। ১২ জুন বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন থেকে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের চারটি প্রবেশদ্বার খুলে দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। সকালবেলা মঙ্গলারতির পরই বিখ্যাত জগন্নাথ মন্দিরের চারটি দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। সরকারের মতে, মন্দিরের দরজা খুলে যাওয়ায় দর্শনার্থীদের আর লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হবে না। মন্দিরের চার দরজা খুলে যাওয়ায় ভক্তরা সুন্দরভাবে মন্দির ও জগন্নাথ দর্শন করতে পারবেন। এই বিরাট ঘোষণা করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি।

তিনি মন্ত্রিসভায় জানিয়েছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে মন্দিরের চারটি প্রবেশপথই বন্ধ রয়েছে। নির্বাচনের সময়, বিজেপি সরকার তার ঘোষণাপত্রে মন্দিরের চারটি দরজা খোলার ঘোষণা করেছিল, সেই সিদ্ধান্ত মেনেই মন্দিরের চারটি দরজা আজ, ১৩ জুন মঙ্গলা আরতির সময় খুলে দেওয়া হয়।

কোভিড পরিস্থিতির সময় ভক্তদের ভিড় সামাল দেওয়া জন্য জগন্নাথ পুরীর চারটি দ্বারের মধ্যে তিনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। একটি গেট দিয়েই ভক্তরা প্রবেশ করতে পারতেন। করোনা পরিস্থিতি কেটে গিয়েছে বেশ বছর, তারপর থেকে মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়ার জন্য দাবি উঠছিল। অভিযোগ ছিল, মন্দিরের চার প্রবেশদ্বার বন্ধ থাকার ফলে ভক্তদের অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এবার থেকে আর লম্বা লাইনে নয়, সুস্থভাবে জগন্নাথ দর্শন করতে পারবেন ভক্তরা।

জগন্নাথের এই বিখ্য়াত মন্দির নিয়ে রয়েছে অজানা ও অলৌকিক ঘটনা। যে ঘটনাগুলি আজও ভক্তদের মনে কৌতূহল জাগায়। পুরীর মন্দিরের বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনাগুলির কোনও বৈজ্ঞানিক সূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি। পুরাণ অনুসারে, জগন্নাথ মন্দিরকে পৃশিবীর বৈকুন্ঠ বলে মনে করা হয়। মনে করা হয়, শ্রীকৃ্ষ্ণের হৃদপিণ্ড এখনও এই মন্দিরে বিরাজমান। সেই হার্ট এখনও রয়েছে সক্রিয়। এছাড়া মন্দিরের পতাকা নিয়েও রয়েছে নানা অলৌকিক কাহিনি। প্রতিদিন ভারতের কোনও মন্দিরের পতাকা বদল করা হয় না। কিন্তু ব্যতিক্রম শুধুমাত্র জগন্নাথ পুরীর মন্দিরে। রোজ নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট রীতিতে, অভিনব পদ্ধতিতে মন্দিরের পতাকা পরিবর্তন করা হয়। একদিন যদি কোনওভাবে এই পতাকা বদল করা না হয়. তাহলে পরবর্তী ১৮ বছর মন্দিরের শীর্ষে পতাকা উত্তোলন করা বন্ধ থাকবে।