Chaitra Navratri 2023: প্রেম ও জ্ঞানের প্রতীক তিনি, চৈত্র নবরাত্রির দ্বিতীয় দিনে দেবীর এই রূপের পুজো করা হয়
Devi Brahmacharini: দেবী দুর্গার অবিবাহিত রূপ হল দেবী ব্রহ্মচারিণী। এই রূপে দেবী দুর্গা ভগবান শিবকে স্বামী হিসেবে পাওয়ার জন্য তপস্যা করেছিলেন।
হিন্দু পঞ্চাঙ্গ অনুসারে,গত ২২ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে চৈত্র নবরাত্রি। আজ ২৩ মার্চ, অর্থাৎ চৈত্র নবরাত্রির দ্বিতীয় দিন। চৈত্র নবরাত্রিতে দেবী দুর্গার নয়টি অবতারের আরাধনা করা হয়। চৈত্র নবরাত্রির দ্বিতীয় দিনে দেবী ব্রহ্মচারিণীর পুজো করা হয়। দেবী ব্রহ্মচারিণী হলেন জ্ঞান, তপস্যা, বৈরাগ্যের দেবী। দেবী দুর্গার অবিবাহিত রূপ হল দেবী ব্রহ্মচারিণী। এই রূপে দেবী দুর্গা ভগবান শিবকে স্বামী হিসেবে পাওয়ার জন্য তপস্যা করেছিলেন। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতেও কেউ যদি দেবী ব্রহ্মচারিণীর পুজো করেন, তাহলে ব্যক্তির সমস্ত মনের ইচ্ছা পূরণ হবে। দেবী ব্রহ্মচারিণীকে বিবেচনা করা হয় প্রেম, নিষ্ঠা, জ্ঞান আর বৃদ্ধির দেবী হিসেবে।
আশ্বিন এবং চৈত্র নবরাত্রির শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে দেবী ব্রহ্মচারিণীর পুজো করা হয়। দেবী ব্রহ্মচারিণীর হাতে থাকে জপমালা আর পরনে সাদা শাড়ি। দেবীর এক হাতে থাকে জপের মালা আর অন্য হাতে কমণ্ডলু। এ দিন দেবীর পুজো করার সময় জুঁই ফুল নিবেদন করা হয়। দেবী ব্রহ্মচারিণীর প্রিয় ফুল জুঁই ফুল। চৈত্র নবরাত্রির দ্বিতীয় দিনের শুভ রং হলুদ। এ দিন আপনি দেবীর পুজোর জায়গা হলুদ গাঁদা ফুল দিয়ে সাজাতে পারেন। হিন্দু ধর্মে হলুদ রং কে শিক্ষা আর জ্ঞানের রং মানা হয়েছে।
ভগবান গণেশের পুজো দিয়ে শুরু হয় দেবী ব্রহ্মচারিণীর পুজো। পুজোর সামগ্রীতে ফুল, চন্দন এবং হলুদ সুতো অবশ্যই রাখুন। দেবী ব্রহ্মচারিণীর পুজোতে সাদা কিংবা হলুদ বস্ত্র পরুন। আর দেবী ব্রহ্মচারিণীকেও সাদা কিংবা হলুদ বস্ত্র অর্পণ করুন। তারপর দেবীকে পঞ্চামৃত দিয়ে স্নান করিয়ে পুজো শুরু করুন। দেবীকে দুধের তৈরি কোনও মিষ্টি ভোগ দিন। দূর্গা সপ্তশতীর পাঠ করুন। শেষে দেবীর আরতি করুন।
দেবী ব্রহ্মচারিণীর আরাধনার জন্য এই মন্ত্র জপ করুন-
ইয়া দেবী সর্বভূতেষু মা ব্রহ্মচারিণী রূপেন সংস্থিতা | নমস্তস্যই নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ || দধনা কারা পদ্মভ্যাম অক্ষমলা কামণ্ডালু | দেবী প্রসিদাতুরমণি মা || ওম দেবী শৈলপুত্রায় নমঃ ॥ ইয়া দেবী সর্ব ভূতেষু শক্তি রূপেন সংস্থিতাঃ || নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমহা ||
দেবীর ধ্যানমন্ত্র হল-
‘বন্দে বাঞ্ছিতলাভায় চন্দ্রার্ধকৃতশেখরাম্। জপমালাকমণ্ডলুধরাং ব্রহ্মচারিণীং শুভাম্। গৌরবর্ণাং স্বাধিষ্ঠানস্থিতাং দ্বিতীয়দুর্গাং ত্রিনেত্রাম্। ধবলবর্ণাং ব্রহ্মরূপাং পুষ্পালঙ্কারভূষিতাম্। পদ্মবদনাং পল্লবাধরাং কান্তঙ্কপোলাং পীনপয়োধরাম্। কমনীয়াং লাবণ্যাং স্মেরমুখীং নিম্ননাভিং নিতম্বনীম্।।’