দীপাবলির পরেই ছট পুজো। এবছর ছট পুজোর শুরু হবে আগামী ২৮ অক্টোবর স্নানের মধ্য দিয়ে। পরের দিন, ২৯ অক্টোবর খরনা করা হবে। ৩০ অক্টোবর সনধ্যের সময় অর্ঘ্য দেওয়া হবে। ছট উত্সবের শেষ দিনে অর্থাত্ ৩১ অক্টোবর সূর্যাস্তের সময় অর্ঘ্য নিবেদন করা হবে। ছট নিয়ে রয়েছে বহু পৌরাণিক কাহিনি। চার দিন ব্যাপী এই উত্সবের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে বহু বিশ্বাস, কাহিনি। মহাভারতের সময়েও ছট উত্সবের গুরুত্বের কথা উল্লেখ পাওয়া যায়। দ্রৌপদীও ছট পুজোর উপবাস করেছিলেন বলে জানা যায়। কিন্তু কেন তিনি উপবাস রেখেছিলেন, তা জানাও দরকার।
ছট পুজোর গুরুত্ব
পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, প্রধাণত ছট পুজো হল ছট মাইয়া সূর্য দেবতার পুজো। চার দিন ধরে এই উত্সবে পরিবারের সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধির বিরাজ করে। সমস্ত উত্সবের মধ্যে ছটই হল একমাত্র উত্সব যেখানে অস্তগামী সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন করা হয়। ছট মহাপর্বেরও পৌরাণিত তাত্পর্য রয়েছে। মনে করা হয়,ছাঠি মাইয়া সূর্য দেবের বোন। এই কারণেই ছট উত্সবে সূর্। দেবতার আরাধনা করা হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, ছটে মহিলারা ৩৬ ঘণ্টা নির্জলা উপবাস রাখেন। সন্তানদের দীর্ঘায়ু কামনা করে সূর্য দেবতা ও ছঠি মাইয়ার আশীর্বাদ পেতে এই উত্সব পালন করা হয়। একই সঙ্গে এই দিন ছঠি মাইয়া পুজো করলে পরিবারে সুখ ও সমৃ্দ্ধি লাভ করে। অনেকে কন্যা সন্তান লাভের জন্যও এই ব্রতের উপবাস রাখেন।
মহাভারতে ছট পুজো
ছট মহাপর্ব মহাভারত যুগের সঙ্গেও সম্পর্কিত। মনে করা হয়, প্রথম সূর্যপুত্র কর্ণ সূর্যের পুজো করেছিলেন। কথিত আছে, সূর্য দেবতার আশীর্বাদে কর্ণ একজন মহান যোদ্ধা হয়েছিলেন। বিশ্বাস করা হয়, কর্ণ ছিলেন সূর্যের পরম ভক্ত। তিনি প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা জলে দাঁড়িয়ে সূর্যদেবের পুজো করতেন। অন্য কিংবদন্তি অনুসারে, দ্রৌপদীও ছট পুজো করতেন। কথিত আছে, পাণ্ডবরা যখন জুয়ায় তাদের সমস্ত রাজত্ব হারিয়েছিলেন, সেইসময় দ্রৌপদী রাজসিংহাসন ফিরে পাওয়ার জন্য সূর্য দেবতার পুজো করেছিলেন। ছটের উপবাস রেখেছিলেন তিনি। কথিত আছে, দ্রৌপদী যখন নিয়ম মেনে ছট উত্সবে সামিল হয়েছিলেন, সেই সময় পাণ্ডবরা তাদের রাজপ্রাসাদ ফিরে পেয়েছিলেন।