গৌতম বুদ্ধ ছিলেন একজন সম্যাক তপস্বী ও জ্ঞানী। যাঁর তত্ত্ব অনুসারে বৌদ্ধধর্ম প্রবর্তিত হয়। তিনি সিদ্ধার্থ গৌতম, শাক্যমুনি বুদ্ধ বা ‘বুদ্ধ’ উপাধি অনুযায়ী শুধুমাত্র বুদ্ধ নামেও পরিচিত। অনুমান করা হয়, তিনি খ্রিস্টপূর্ব ৬২৫ অব্দে এক সময়ে প্রাচীন ভারতের পূর্বাঞ্চলে জীবিত ছিলেন এবং শিক্ষাদান করেছিলেন। সনাতন(হিন্দু) ধর্মের নবম অবতার গৌতম বুদ্ধ হলেন বৌদ্ধধর্মের প্রবর্তক। বৌদ্ধরা তাকে সেই বোধিপ্রাপ্ত বা দিব্য শিক্ষক মনে করেন, যিনি সম্পূর্ণ বুদ্ধত্ব অর্জন করেছেন এবং নিজের অন্তর্দৃষ্টির কথা সকলকে জানিয়ে চেতন সত্ত্বাদের পুনর্জন্ম ও দুঃখের সমাপ্তি ঘটাতে সাহায্য করেছেন। বৌদ্ধরা বিশ্বাস করেন, গৌতম বুদ্ধের জীবনকাহিনী, কথোপকথনের বিবরণ, সন্ন্যাস নিয়মাবলি তার মৃত্যুর পর হতে সঙ্গায়নের মাধ্যমে বুদ্ধের বাণী সংরক্ষণ করে রাখতেন।
সত্য, ধর্ম, ভালবাসা, শান্তি ও সম্প্রীতি নিয়ে তাঁর চিন্তাভাবনা কত মানুষের জীবনকে পরিবর্তন করেছে, তা হয়তো গুণে শেষ করা যাবে না। গৌতম বুদ্ধের বাণী জগৎ বিখ্যাত। জীবনে চলার পথে তাঁর বাণীগুলি অনুসরণ করে চলতে পারলে হয়তো অনেক সমস্যার সমাধান আমাদের হাতের মুঠোয় চলে আসবে।
তোমার কাছে যা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাক- আমাদের কাছে সবকিছু থাকলেও, অনেক সময় আমরা আরও কিছু পাওয়ার প্রত্যাশা করি। অল্পতে সন্তুষ্ট হতে পারি না। কিন্তু এটা ঠিক নয়। তোমার কাছে যা আছে তার জন্য সর্বদা কৃতজ্ঞ থাক, অনেকের কাছে কিছুই থাকে না।
আরও পড়ুন: আপনার জীবনে সমস্যা মিটবে মাত্র এক গ্লাস জলেই! কীভাবে?
সমস্যার কথা ভুলে যান- জীবনে সফল হতে চাইলে, যেসব সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন তা ভুলে যান। তবে অধিকাংশ সমস্যাগুলি থেকে যে শিক্ষা পেয়েছেন, তা কখনই ভুলবেন না।
বর্তমানে দিকে মনোযোগ দিন- আমরা অনেকেই নিজের পুরানো সময় মনে করে কষ্ট পাই, আর ভবিষ্যতে কী হবে তা নিয়ে ভাবতে থাকি। এই পরিস্থিতি নিয়ে গৌতম বুদ্ধের বাণী – অতীত নিয়ে ভেবে লাভ নেই, ভবিষ্যতের স্বপ্নে হারিয়ে যেও না, বর্তমানের দিকে মনোযোগ দাও।
যারা ভালোবাসে তাদেরকে ভুলবেন না – গতকাল যে আপনাকে কষ্ট দিয়েছে তা ভুলে যান, তবে যারা আপনাকে সবসময় ভালোবাসে তাদেরকে ভুলে যাবেন না।
সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকুন – একটা প্রদীপের মাধ্যমে হাজারটা প্রদীপকে জ্বালানো যেতে পারে, কিন্তু তাতে সেই প্রদীপের আলো কখনও কমে যায় না| ঠিক তেমনই সুখ ভাগ করে নিলে কখনও কমে না।