Amarnath Temple: কে প্রথম অমরনাথের শিবলিঙ্গ আবিষ্কার করেছিলেন, জানেন কি?

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Feb 02, 2022 | 2:34 AM

অমরনাথে কবে থেকে তীর্থ যাত্রা শুরু হয় তা জানা যায় না। রাজতরঙ্গিনী (পুস্তক VII v.183) বইটিতে কৃষান্থ বা অমরনাথের প্রসঙ্গ পাওয়া যায়।

Amarnath Temple: কে প্রথম অমরনাথের শিবলিঙ্গ আবিষ্কার করেছিলেন, জানেন কি?
অমরনাথ গুহা, মহামায়া শক্তিপীঠের আবাসস্থল ৫১টি শক্তিপীঠের মধ্যে একটি।

Follow Us

অমরনাথ হল হিন্দুদের একটি পবিত্র তীর্থক্ষেত্র। এটি জম্মু কাশ্মীরে অবস্থিত। এটি মূলত একটি গুহা। এবং চারিদিকে পাহাড় দিয়ে ঘেরা। পাহাড়গুলি আবার বরফাবৃত। গ্রীষ্মকালে খুব কম সময়ের জন্যই এখানে যাওয়া সম্ভব হয়। কারণ বাকি সময় পুরো রাস্তাটি বরফে ঢাকা থাকে। এবং সেই সময় লক্ষ লক্ষ ভক্ত সেখানে যাত্রা করে। কিন্তু দুর্গম এই পথ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ সাধারন মানুষদের কাছে?

অমরনাথ গুহা একটি তীর্থক্ষেত্র যা ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে অবস্থিত। এটি একটি শৈব তীর্থ। এই গুহাটি সমতল থেকে ৩,৮৮৮ মিটার (১২,৭৫৬ ফুট) উঁচুতে অবস্থিত। জম্মু ও কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর ১৪১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই তীর্থে যেতে পহেলগাও শহর অতিক্রম করতে হয়। এই তীর্থ ক্ষেত্রটি হিন্দুদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং অন্যতম পবিত্র স্থান বলে বিবেচিত হয়। অমরনাথের গুহাতে চুইয়ে পড়া জল জমে শিবলিঙ্গের আকার ধারণ করে। জুন-জুলাই মাসে শ্রাবণী পূর্ণিমা থেকে শুরু হয় অমরনাথ যাত্রা। শেষ হয় জুলাই-আগস্ট মাসে গুরু পূর্ণিমার সময় ছড়ি মিছিলে। জাতিধর্ম নির্বিশেষে লক্ষ লক্ষ মানুষ এই অমরনাথ যাত্রায় যোগদান করেন।

গুহার ভিতরে ৪০ মিটার (১৩০ ফুট) গুহার ছাদ থেকে জল ফোটায় ফোটায় চুইয়ে পড়ে। অবাক ভাবে এই চুইয়ে পড়া জলের ধারা খাড়া ভাবে গুহার মেঝে পড়ার সময় জমে গিয়ে শিব লিঙ্গের আকার ধারণ করে। কখনো কখনো ৮ ফুট উঁচুও হয় এই শিব লিঙ্গ। তবে গত কয়েকবছর ধরেই সময়ের আগেই বরফলিঙ্গ গলে যাচ্ছে যা হয়তো উষ্ণায়নের ফল। জুন-জুলাই মাসে শ্রাবণী পূর্ণিমা থেকে শুরু হয় অমরনাথ যাত্রা। শেষ হয় জুলাই-আগস্ট মাসে গুরু পূর্ণিমার সময় ।

অমরনাথ গুহা, মহামায়া শক্তিপীঠের আবাসস্থল ৫১টি শক্তিপীঠের মধ্যে একটি। এখানে সতীর গলা পড়েছিল বলে মনে করা হয়। প্রতি বছর শ্রাবণ পূর্ণিমা পর্যন্ত চলে অমরনাথ যাত্রা। তারপর চাঁদ যত ছোট হতে থাকে, ততই ছোট হয় বরফের শিবলিঙ্গ। অমরনাথে কবে থেকে তীর্থ যাত্রা শুরু হয় তা জানা যায় না। রাজতরঙ্গিনী (পুস্তক VII v.183) বইটিতে কৃষান্থ বা অমরনাথের প্রসঙ্গ পাওয়া যায়। একটি তথ্যসুত্র থেকে ধারণা করা হয় কিংবদন্তী রাজা আরজরাজা (খ্রিস্টপূর্ব ৩০০ সাল) বরফ নির্মিত শিবলিঙ্গে পূজা দিতেন। ধারণা করা হয় রাণী সূর্যমতি ১১ শতকে অমরনাথের এই ত্রিশূল,বাণলিঙ্গ ও অন্যান্য পবিত্র জিনিস উপহার দেন। এছাড়াও পুরাতন বিভিন্ন বই থেকে আরও বেশ কিছু ভিন্ন ভিন্ন সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যায়।

প্রচলিত আছে কাশ্মীর একসময় জলে প্লাবিত হয়ে যায় এবং কাশ্যপ মুনি সে জল নদীর মাধ্যমে বের করে দেন। জল কমে গেলে, এরপর ভৃগু মুনি অমরনাথ বা শিবের দেখা পান। এভাবে আবার অমরনাথের প্রচার শুরু হয়। বর্তমানে প্রতি বছর কয়েক লাখ মানুষ অমরনাথ যাত্রা করে।

 

আরও পড়ুন: Masik Shivratri 2022: শিবের অপর নাম ত্রিপুরারি- নীলকন্ঠ- পশুপতি! জেনে নিন মহেশ্বরের অজানা কথা

Next Article