Vikata Sankashti Chaturthi: আজ চাঁদ দেখে মহাগণপতি পুজো করলে দূর হবে জীবনের সব সংকট! জেনে নিন এই দিনটির মাহাত্ম্য

Lord Ganesha: এই দিনই শিব বিষ্ণু-লক্ষ্মী ও শিব-পার্বতীর উর্ধ্বে তার পুত্রকে শ্রেষ্ঠতম বলে ঘোষণা করেছিলেন। কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থ দিনে পালন করা হয় এই সংকষ্টী চতুর্থী। সংস্কৃতে, সংকষ্টীর অর্থ বাধা এবং মন্দ দূর করা।

Vikata Sankashti Chaturthi: আজ চাঁদ দেখে মহাগণপতি পুজো করলে দূর হবে জীবনের সব সংকট! জেনে নিন এই দিনটির মাহাত্ম্য
বিকট সংকষ্টী চতুর্থী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 19, 2022 | 9:14 AM

সংকষ্টী চতুর্থী (Sankashti Chaturthi Vrat) বা সংকটহরা চতুর্থী হল একটি হিন্দু ব্রত অনুষ্ঠান। এই দিন হিন্দু দেবতা গণেশের পূজা করা হয়। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে প্রতি মাসের কৃষ্ণা চতুর্থী তিথিতে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। বিকট সংকষ্টী চতুর্থী ব্রত (Vikata Sankashti Chaturthi Vrat 2022)হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি অত্যন্ত শুভ দিন। এই দিন হিন্দু দেবতা গণেশের পূজা করা হয়। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে প্রতি মাসের কৃষ্ণা চতুর্থী তিথিতে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। ভক্তরা গণেশের পুজো করে তাঁর কাছে প্রার্থনা করেন।

পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, ভক্তেরা মনে করেন, এই দিন গণেশ মর্ত্যে অবতীর্ণ হয়ে ভক্তদের কৃপা করেন। এই দিনই শিব বিষ্ণু-লক্ষ্মী ও শিব-পার্বতীর উর্ধ্বে তার পুত্রকে শ্রেষ্ঠতম বলে ঘোষণা করেছিলেন। কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থ দিনে পালন করা হয় এই সংকষ্টী চতুর্থী। সংস্কৃতে, সংকষ্টীর অর্থ বাধা এবং মন্দ দূর করা। সংকষ্টী চতুর্থীতে, ভক্তরা গণেশের সম্মানে কঠোর উপবাস পালন করে।

পুজোবিধি

যারা উপবাস পালন করেন, তারা ফলমূল, দুধের তৈরি খাবার, চিনাবাদাম, সাবুদানার খিচড়ি ও মিষ্টি আলু দিয়ে তৈরি খাবার খেয়ে থাকেন। সন্ধ্যায় চাঁদ দেখে পূজা করা হয়। ভগবান গণেশের একটি ছবি বা মূর্তি তাজা ফুল, কুমকুম এবং দূর্বা ঘাস দিয়ে সজ্জিত করা হয়। তারপরে, একটি তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে ভক্তরা গণপতি মন্ত্র উচ্চারণ করেন এবং ব্রতকথা বা সংকষ্টী চতুর্থীর গল্প পাঠ করেন। চাঁদ দেখে গণপতি পূজা করলে উপবাস সম্পন্ন হয়। এইদিন ভোগে মোদক, দূর্বা, জল দিয়ে নিবেদন করা হয়। গণেশ বিঘ্ননাশকারী এবং বুদ্ধির সর্বোচ্চ ঈশ্বর। তাই ভক্তদের বিশ্বাস, এই দিন উপবাস করলে সকল সমস্যার সমাধান সম্ভব। চন্দ্র উদয়ের আগে গণেশের আশীর্বাদ লাভ করার জন্য গণপতি অথর্বশীর্ষ পাঠ করা হয়।

মহাগণপতি

গণেশের অন্যান্য সকল রূপের ন্যায় মহাগণপতিও গজানন বা হস্তীমুণ্ডবিশিষ্ট। তাঁর গাত্রবর্ণ সিন্দূর অথবা নবোদিত সূর্যের অনুরূপ। অধিকাংশ মূর্তিলক্ষণ শাস্ত্রে তাঁর ললাটে তৃতীয় নয়ন, মস্তকে অর্ধচন্দ্র ও দশভূজের উল্লেখ পাওয়া যায়। মহাগণপতি তাঁর দশ হস্তে পদ্ম, দাড়িম্ব, গদা, চক্র, নিজের ভগ্ন দন্ত, পাশ, জলপূর্ণ রত্নময় কলস, নীলপদ্ম, ধান্যশীর্ষ ও ধনুকাকার ইক্ষুদণ্ড ধারণ করে থাকেন। বিকল্প মূর্তি লক্ষণে মহাগণপতির হস্তে দাড়িম্বের পরিবর্তে আম্র, গদার পরিবর্তে শঙ্খ এবং জলপূর্ণ রত্নময় কলসের পরিবর্তে রত্নখচিত অমৃতকলসের উল্লেখ রয়েছে। একটি বর্ণনায় বলা হয়েছে, মহাগণপতির দশ হস্তে ধৃত দশটি বস্তু বিভিন্ন দেবতার উপহার। এই বস্তুগুলি সমগ্র দেবমণ্ডলীর উপর মহাগণপতির শ্রেষ্ঠত্বের এবং সকল দেবতার কর্ম সম্পাদনের যে ক্ষমতা মহাগণপতির রয়েছে, তারও প্রতীক। মহাগণপতি পরমসত্ত্বা পরব্রহ্মের রূপকল্প। তাই তিনি গণেশ-উপাসনাকেন্দ্রিক গাণপত্য সম্প্রদায়ের প্রধান উপাস্য। মহাগণপতি গণেশের বহুপরিচিত ও বহুপূজিত মূর্তিগুলির অন্যতমও বটে। এই মূর্তিটি আনন্দ, সম্পদ ও গণেশের শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক।

তিথি এবং শুভ মুহুর্ত:

হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, বৈশাখ মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থী ১৯ এপ্রিলে শুরু। বিকট সংকষ্টী চতুর্থী তিথি। ভোর ৪টে ৩৮ মিনিট থেকে এই ব্রতের সময় শুরু। আগামী ২০ এপ্রিল বেলা ১টা ৫২ মিনিটে সমাপ্তি হবে বলে জানা গিয়েছে। বিকট সংকষ্টী চতুর্থী তিথির শুভ মুহরত শুরু ১১টা ৫৫মিনিট পর্যন্ত দুপুর ১২টা ৪৬ মিনিট পর্যন্ত।

 চন্দ্রোদয়ের সময়: পূর্বাভাস অনুযায়ী, চাঁদ উঠবে রাত ৯টা ৫০ মিনিটে।

আমরা কেন বিকাটা সংকষ্টী চতুর্থী উদযাপন করি

কিংবদন্তি অনুসারে, গণেশ শিবের স্ত্রী দেবী পার্বতী দ্বারা সৃষ্টি হয়েছিল। তিনি তাকে হলুদ বাটা থেকে তৈরি করেছিলেন যা তিনি তার স্নানের জন্য ব্যবহার করেছিলেন । গণেশের মূর্তি তৈরে করে তাতে তিনি প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। স্নানে যাওয়ার সময় তিনি সেই মূর্তিকে দরজয়ার সামনে রক্ষীর মত থাকতে বলেন। সনাতন ধর্ম অনুসারে, ভগবান গণেশ হলেন প্রথম দেবতা যিনি পূজিত হন তাঁর একনিষ্ঠ কাজ এবং বুদ্ধিমত্তার জন্য।

আরও পড়ুন: Hanuman Temple: ভবিষ্য়ত জীবন সংকটে নাকি আনন্দের, পূর্বাভাস মেলে এই বিখ্যাত হনুমান-গণেশ মন্দিরে!