AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Puja Ghar: সাধ করে বাড়িতে ঠাকুরঘর করছেন? বাস্তুর এই নিয়ম না মানলে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে

Vaastu Rules: বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, সঠিকভাবে ঠাকুর ঘর তৈরি করলে পরিবারে সুখ, সমৃদ্ধি ও সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে। আবার ভুল জায়গায় ভুল নিয়মে পুজোর স্থান হলে মানসিক অশান্তি, আর্থিক সমস্যা কিংবা নানা বাধা-বিপত্তি দেখা দিতে পারে। ঠাকুর ঘর কেমন হওয়া উচিত?

Puja Ghar: সাধ করে বাড়িতে ঠাকুরঘর করছেন? বাস্তুর এই নিয়ম না মানলে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে
| Updated on: Aug 30, 2025 | 4:35 PM
Share

ভারতীয় সংস্কৃতিতে ঠাকুর ঘর বা পূজার ঘর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান। বিশ্বাস ঠাকুরঘর মানসিক শান্তি, ইতিবাচক শক্তি এবং পারিবারিক সমৃদ্ধির উৎস। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, সঠিকভাবে ঠাকুর ঘর তৈরি করলে পরিবারে সুখ, সমৃদ্ধি ও সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে। আবার ভুল জায়গায় ভুল নিয়মে পুজোর স্থান হলে মানসিক অশান্তি, আর্থিক সমস্যা কিংবা নানা বাধা-বিপত্তি দেখা দিতে পারে। ঠাকুর ঘর কেমন হওয়া উচিত?

কোথায় করবেন ঠাকুরঘর?

১. বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণ – বাস্তু মতে ঠাকুর ঘরের জন্য সবচেয়ে শুভ স্থান বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিক। এই দিককে ঈশান কোণ বলা হয়। দেবতাদের স্থান হিসেবে ধরা হয়। সূর্যের প্রথম কিরণ এখানে পড়ে, যা পবিত্রতা ও শক্তির প্রতীক।

২. উত্তর বা পূর্ব দিক যদি উত্তর-পূর্ব কোণে জায়গা না পাওয়া যায়, তবে উত্তর বা পূর্ব দিকেও ঠাকুর ঘর করা যেতে পারে। এতে পরিবারের সদস্যরা পূজা করার সময় মুখ পূর্ব বা উত্তর দিকে রাখতে পারবেন, যা অত্যন্ত শুভ মনে করা হয়।

৩. শোবার ঘরে ঠাকুর ঘর নয় শোবার ঘরে পূজার স্থান রাখা বাস্তু মতে অশুভ। কারণ, ঘুম ও বিশ্রামের সঙ্গে পূজার স্থানের পবিত্রতার মিল হয় না। যদি বাধ্য হয়ে শোবার ঘরেই রাখতে হয়, তবে ঠাকুর ঘরকে পর্দা বা আলমারির মধ্যে আলাদা করে রাখা উচিত।

৪. রান্নাঘর বা বাথরুমের পাশে নয় ঠাকুর ঘর কখনোই রান্নাঘরের চুল্লির পাশে বা বাথরুমের গা ঘেঁষে হওয়া উচিত নয়। এগুলোকে অশুদ্ধ স্থান ধরা হয় এবং দেবতার শক্তির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

মনে রাখবেন, বাস্তু মতে দেবতার মূর্তি বা ছবি সবসময় পূর্ব বা পশ্চিমমুখী করে রাখা উচিত। এতে পুজো করার সময় ভক্ত উত্তর বা পূর্বমুখী হয়ে বসতে পারেন, যা শুভ শক্তি বৃদ্ধি করে। দেবমূর্তির পেছনে দেয়াল থাকা উচিত, ফাঁকা জায়গা নয়। দেবমূর্তি খুব বড় বা অতিরিক্ত ছোট হওয়া উচিত নয়। মাঝারি আকারের মূর্তি বাস্তু মতে সর্বোত্তম।

এছাড়াও ঠাকুরঘর সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। অপ্রয়োজনীয় জিনিস বা ভাঙা মূর্তি এখানে রাখা উচিত নয়। ঠাকুর ঘরে প্রাকৃতিক আলো প্রবেশ করা অত্যন্ত শুভ। পাশাপাশি প্রদীপ, ধূপকাঠি বা ঘৃতের বাতি জ্বালানো বাস্তু মতে পবিত্রতার প্রতীক। দেওয়ালে হালকা ও শান্ত রঙ যেমন সাদা, হালকা হলুদ বা হালকা নীল ব্যবহার করলে মানসিক শান্তি বৃদ্ধি পায়। গাঢ় বা কালো রঙ এড়িয়ে চলা উচিত।

যদি সম্ভব হয়, ঠাকুর ঘরে একটি দরজা ও জানালা থাকা ভাল। এতে বায়ুপ্রবাহ ঠিক থাকে এবং পরিবেশ সতেজ হয়। ঠাকুর ঘরের উপরে কখনোই টয়লেট বা শোবার ঘর রাখা উচিত নয়।