মথুরার গোকুলে প্রায় ৬০০০ বছর পুরনো একটি কদম্ব বা কদম ফুলের গাছ রয়েছে, যেটি হিন্দুমতে বা পুরাণ মতে বাল্যবেলায় শ্রীকৃষ্ণ মা যশোদাকে এই স্থানে মহাবিশ্বের দর্শন দিয়েছিলেন।
ব্রজভূমির প্রতিটি কণায় শ্রী কৃষ্ণের সঙ্গে সম্পর্কিত তথ্য বর্তমান। তাঁর সম্পর্কিত গল্পগুলি সর্বদা ভক্তদের জিভে ডগায় লেগে থাকে। প্রায় ৬০০০ বছর পুরনো (এমনটাই বিশ্বাস) মথুরার গোকুলের একটি কদম্ব বা কদম ফুলের গাছ রয়েছে, যেখানে যশোদা শ্রীকৃষ্ণের মুখে বিশ্বজগতের দর্শন পেয়েছিলেন। দীপাবলির পরের ২ দিন অর্থাৎ গোবর্ধন ও ভাইফোঁটার দিনে হাজার হাজার মানুষ এখানে আসেন এবং ইচ্ছাপূরণের জন্য মানত করে থাকেন।
মথুরা থেকে প্রায় ১৪ কিমি দূরে গোকুল গ্রাম। সেখানে শ্রীকৃষ্ণের শৈশবকালীন কার্যকলাপের সাক্ষী। গোকুলে কৃষ্ণের আমোদ-প্রমোদের কাহিনি আজও বর্ণিত এবং সেই স্থানটি ভক্তদের বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে রয়েছে।
কাহিনি
এই কদম্ব বা কদম ফুলের গাছটি যমুনার তীরে অবস্থিত। কার্তিক পূর্ণিমার সময় যমুনাযর ঘাটে স্নান করেন ভক্তরা। তার পর এই গাছের পুজো করা হয়। মনে করা হয়, এখানে বালকৃষ্ণ গোপা-সন্তানদের সঙ্গে খেলার সময় কাদা খেয়েছিলেন। মা যশোদা বলরামকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে, তখন বলরামও কানহাইয়ার মাটি খাওয়ার কথাকে সমর্থন করেন। মাতা যশোদা সেই স্থানে পৌঁছে কৃষ্ণকে জিজ্ঞেস করেন- ‘মাটি খেয়েছ?’
কানহাইয়া উত্তর দেন- “না মাইয়া! আমি মাটি খাইনি।” যশোদা মাইয়া বলেন- কানহাইয়া! “তোমার মুখ খোলো.” মাতা যশোদা যখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখ দেখেনষ আর সেখানে ঘটে যায় এখ অলৌকিক ঘটনা। কানহাইয়ার মুখে তখন ব্রহ্মাণ্ড, ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ এবং সমস্ত কিছু দৃশ্যমান দেখতে পান তিনি।একবারে সমগ্র মহাবিশ্বের দর্শন পেয়েছিলেন মা যশোদা।
কথিত আছে, মা যশোদা এই গাছের নিচে ব্রহ্মাণ্ড দেখেছিলেন। বিশ্বাস করা হয় যে সেই সময়ে কদম্ব গাছ দর্শন করে অমরত্ব লাভ করেছিল এবং তাই কলিযুগেও এই গাছটি ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূরণ করে কৃষ্ণলীলায় মেতে ওঠে আশীর্বাদপ্রাপ্ত হন ভক্তরা।
আরও পড়ুন: Diwali 2021: দীপাবলির রাতে লক্ষ্মীর চরণ পাদুকা না আঁকলে বাড়িতে কী কাণ্ড হতে পারে জানেন?