Mahakumbh 2025: ১২ বছর পর পরই কেন হয় মহাকুম্ভ? কারণ জানলে শিহরিত হবেন

Jan 10, 2025 | 5:27 PM

কুম্ভ মেলার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানা রহস্য। ১২ বছর পর কেন হয় মহাকুম্ভ? সমুদ্রমন্থনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কুম্ভর যোগ। জানেন সেই ইতিহাস?

Mahakumbh 2025: ১২ বছর পর পরই কেন হয় মহাকুম্ভ? কারণ জানলে শিহরিত হবেন
১২ বছর পর পরই কেন হয় মহাকুম্ভ? কারণ জানলে শিহরিত হবেন
Image Credit source: Sanjay Kanojia/NurPhoto via Getty Images

Follow Us

প্রয়াগরাজে এ বারের মহাকুম্ভ (Mahakumbh) আয়োজনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শেষের পথে। ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু মহাকুম্ভ। প্রতি ১২ বছরে একবার হয় মহাকুম্ভ। আর অর্ধকুম্ভ হয় ৬ বছরে একবার। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে ২৬ ফেব্রুয়ারি অবধি চলবে মহাকুম্ভ। কুম্ভ এবং মহাকুম্ভ মেলার আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকেন নাগা সন্ন্যাসীরা। এই সময় অনেকে শাহী স্নান করার পাশাপাশি নাগা সাধুদের সান্নিধ্যে আসেন। কুম্ভ মেলার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানা রহস্য। ১২ বছর পর কেন হয় মহাকুম্ভ? সমুদ্রমন্থনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কুম্ভর যোগ। জানেন সেই ইতিহাস?

মহাকুম্ভ সংক্রান্ত পৌরাণিক কাহিনিতে কথিত আছে, এটি সমুদ্র মন্থনের সঙ্গে যুক্ত। যে সময় দেবতা ও অসুরদের মধ্যে অমৃত প্রাপ্তির জন্য প্রচণ্ড যুদ্ধ হচ্ছিল, তখন নারায়ণ মোহিনী রূপ ধারন করে একটি অমৃত কলস নিয়ে উঠে আসেন। এরপর অসুররা অমৃত কলস দখল করে নিলে বিষ্ণু মোহিনী রূপে সেই কলস ফিরিয়ে আনেন। সেই সময় অমৃত পানের মধ্যে অসুর ও দেবতাদের মধ্যে লড়াই তীব্র আকার ধারন করতে থাকে। তা দেখে দেবরাজ ইন্দ্রের ছেলে জয়ন্তর হাতে অমৃতের কলস তুলে দেন বিষ্ণু। এরপর জয়ন্ত কাকের রূপ ধরে কলসটি নিয়ে উড়ে যান। তা দেখে অসুররা তাঁকে ধাওয়া করতে গিয়ে তাড়াহুড়োতে কয়েক ফোঁটা অমৃত চারটি জায়গায় পড়ে। এই চারটি জায়গা হল – প্রয়াগরাজ, উজ্জয়িন, হরিদ্বার ও নাসিক। এই চার জায়গায় কুম্ভমেলা আয়োজিত হয়।

শাস্ত্র অনুযায়ী, প্রয়াগরাজকে তীর্থরাজ বলা হয়। এ বিশ্বাসও রয়েছে যে, ব্রহ্মা এখানে প্রথমে যজ্ঞ করেছিলেন। ধর্মীয় গ্রন্থেও এর উল্লেখ রয়েছে। শুধু তাই নয়, পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী ১২দিন অমৃত পাওযার জন্য দেবতা ও অসুরদের মধ্য প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়েছিল। এই ১২ দিন একজন মানুষের কাছে ১২ বছরের সমান। তাই প্রতি ১২ বছরে একবার মহাকুম্ভের আয়োজন করা হয়।

এই খবরটিও পড়ুন

মহাকুম্ভ প্রয়াগরাজে হয় কেন? কারণ সেখানে গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতী নদীর সঙ্গমস্থল। তাই পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে যে ৪ জায়গায় অমৃতের ফোঁটা পড়েছিল তার মধ্যে প্রয়াগরাজের গুরুত্ব বেশি। ধর্মীয় বিশ্বাস শাহী স্নানের সন্ধিক্ষণে যাঁরা এই তিন নদীর সঙ্গমস্থলে স্নান করেন, তাঁদের মুক্তিলাভ হয়।

Next Article