হিন্দুধর্মে পূর্ণিমাকে যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি অমাবস্যারও রয়েছে সমান মর্যাদা। প্রতি মাসের অমাবস্যা পালিত হয় পাক্ষিকের ১৫ দিনের মাথায়। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, মাঘ মাসের অমাবস্যা পাক্ষিকের অমাবস্যাকে মাঘী বা মৌনী অমাবস্যা পালিত হয়। শাস্ত্র অনুসারে, মাঘ মাসের এই বিশেষ অমাবস্যায় স্নান ও দান কর্ম করলে পুন্যলাভ হতে পারে। এদিন সকাল সকাল তর্পণ, স্নানপর্ব, পিণ্ডদান, দানকাজ করলে মোক্ষলাভও অর্জন করা যেতে পারে।
বিভিন্ন অমাবস্যার নাম
সোমবার পতিত অমাবস্যা সোমবতী অমাবস্যা নামে পরিচিত, একইভাবে ভৌমবতী অমাবস্যা পালিত হয় মঙ্গলবার। শনিবারের অমাবস্যা শনৈশ্চরি অমাবস্যা পালিত হয়। মাঘ মাসের অমাবস্যা মৌনী অমাবস্যা নামে পরিচিত। আশ্বিন মাসের অমাবস্যাকে বলা হয় সর্বপিত্রী অমাবস্যা। আবার কার্তিক মাসের অমাবস্যায় দীপাবলি উৎসবের কারণে শ্রাবণ মাসের অমাবস্যাকে হরিয়ালি অমাবস্যা ও সবচেয়ে বড় নিকষ কালো অমাবস্যা বলে মনে করা হয়। ভাদ্রপদ মাসের অমাবস্যাকে বলা হয় কুশগ্রহী অমাবস্যা।
মৌনী অমাবস্যা তিথিতে কী কী করা উচিত
অমাবস্যা তিথির গুরুত্ব জেনে এ দিনে উপবাস করা উচিত। মৌন শব্দটি মাঘ মাসের অমাবস্যা দিনের সঙ্গে যুক্ত, যার অর্থ শুধু মৌন থাকা নয়,কথার সংযত ব্যবহারও বোঝায়। কেউ কেউ মৌনী অমাবস্যার অর্থ বোঝেন শুধু স্নান করা এবং কথা না বলে পূজা দেওয়া। আসলে এর মানে এই নয়, প্রকৃত অর্থে মৌনী অমাবস্যার অর্থ হল মনের চিন্তার বিশুদ্ধতা, ঈশ্বর তখনই আপনার মনে বাস করবেন। আর সেই সময় মনে কোনও ভুল চিন্তা আসবে না। অমাবস্যার দিন পিতৃপুরুষদের পুজো করা উচিত, তাঁদের স্মরণ করে নৈবেদ্য সাজিয়ে তর্পণ বা পিণ্ডদান করা উচিত।
ভুলেও এই কাজ করবেন না…
মৌনী অমাবস্যার দিন মাথায় রাখবেন ঝাড়ু কেনা থেকে বিরত থাকুন। কারণ সম্পদের দেবী ধনলক্ষ্মী রুষ্ট হলে সব কাজে বাধা সৃষ্টি হতে পারে।