Lakshmi Puja 2023: চঞ্চলা দেবীকে তুষ্ট করতে পুজোয় নিবেদন করুন এই বিশেষ ভোগ!

Lakshmi Puja Bhog: পুজো বা উত্‍সব মানেই বিশাল ভোগের আয়োজন। লক্ষ্মীপুজোতেও বাদ যায় না। তবে ভোগ নিবেদনেও রয়েছে প্রকারভেদ। পূর্ববঙ্গীয়দের জন্য রয়েছে আলাদা নিয়ম। কারণ, ওদেশীয়রা লক্ষ্মীর ভোগ হিসেবে ইলিশ মাছ নিবেদন করেন। অন্যদিকে ঘটি বা এদেশীয়রা শুকনো ফল, নাড়ু, বাতাসা অর্পন করে থাকেন।

Lakshmi Puja 2023: চঞ্চলা দেবীকে তুষ্ট করতে পুজোয় নিবেদন করুন এই বিশেষ ভোগ!
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 29, 2023 | 6:10 AM

দুর্গাপুজোর পর আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। আজ সেই শুভ ও পবিত্র তিথিতেই বাঙালির ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। কথিত আছে, যার যেমন সাধ্য, সে তেমন ভাবে চঞ্চলা দেবীকে নিবেদন করতে পারেন। বাংলার গ্রামে গ্রামে লক্ষ্মীর পুজোর আচার ভিন্ন হতে পারে। ভিন্ন উপায়ে নৈবেদ্য ও ভোগ নিবেদন করেন। দুর্গাপুজোর মতোঅ বাঙালির অন্যতম এই জনপ্রিয় উত্‍সবে ভোগ নিবেদন করা হয় । পুজো বা উত্‍সব মানেই বিশাল ভোগের আয়োজন। লক্ষ্মীপুজোতেও বাদ যায় না। তবে ভোগ নিবেদনেও রয়েছে প্রকারভেদ। পূর্ববঙ্গীয়দের জন্য রয়েছে আলাদা নিয়ম। কারণ, ওদেশীয়রা লক্ষ্মীর ভোগ হিসেবে ইলিশ মাছ নিবেদন করেন। অন্যদিকে ঘটি বা এদেশীয়রা শুকনো ফল, নাড়ু, বাতাসা অর্পন করে থাকেন।

কোথাও আমিষ, আবার কোথাও নিরামিষ ভোগ অর্পণ করা হয়। সাধারণত, কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোয় লুচি, খিচুরি, ল্যাবড়া, আমিষ তরকারি, সুজি, পায়েস, মিষ্টি, ফল, মুড়কি, চিঁড়ে নিবেদন করাই রীতি। প্রাচীন শাস্ত্র ও পুরাণে উল্লেখ রয়েছে, লক্ষ্মী পুজোয় বিভিন্ন ধরনের ফল, ফুল নিবেদন করলেও চলে। তাই ভোগের আয়োজনে রয়েছে ভিন্নতা। জেলা ভিত্তিক নানা ভোগের কথা উঠে আসে। কথিত আছে, লক্ষ্মী পুজোয় কখনও চিনি দিয়ে কোনও ভোগ রান্না করা চলে না। ফলের মধ্যে আখ, আতা অবশ্যই দেওয়া রীতি। লক্ষ্মীর খুব প্রিয় দুটি ফল। প্রথা অনুযায়ী, লক্ষ্মীর চরণে পদ্ম বা শাপলা ফুল , লাল রঙের ফুল নিবেদন করা উচিত। নিয়ম অনুযায়ী, লক্ষ্মী আরাধনার সময় ধানের শীষের ছডা বা গোটা ধান গাছ নিবেদন করা হয়। তাতে লক্ষ্মী তুষ্ট হয়ে ঘরে ধন ও সৌভাগ্যের বৃষ্টি বর্ষণ করে থাকে।

লক্ষ্মী পুজোয় বিশেষ করে নাড়ু দেওয়ার বিশেষ রীতি রয়েছে। খই, মুড়কি, চিডে মাখার সঙ্গে নারকেল নাড়ু, তিলের নাড়ু, ক্ষীরের নাড়ু দেওয়া হয়। নারকেলেৃ কোরা, এলাচ গুঁড়ো, কর্পূর, মধু, ঘি, বাতাসা আর চিনি দিয়ে মেখে ভোগ দেওয়া হয়। সঙ্গে মটর, ছোলা, তিল, ফল ও মিষ্টান্নও এই ভোগ লক্ষ্মীপুজোয় সাধারণত নিবেদন করা হয়।

ভোগের থালিতে ফল হিসেবে লক্ষ্মীর প্রিয় তালের শাঁস দেওয়া আবশ্যিক। এছাড়া লক্ষ্মীপুজোয় বিশেষ করে অন্নভোগও নিবেদন করা হয়। অধিকাংশ বাঙালির লক্ষ্মীপুজোয় খিচুরি, আলু ভাজা, বেগুন ভাজা-সহ পাঁচ রকমের ভাজা, লুচি, সন্দেশ, সুজি, শাক, ল্যাবড়া, চাটনি, মিষ্টি ইত্যাদিও ভোগ হিসেবে নিবেদন করার রেওয়াজ রয়েছে।

পূর্ববঙ্গের লক্ষ্মীপুজোয় আমিষ ভোগও দেওয়া হয়। অনেক পরিবারে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় মাছের ভোগ দেওয়া হয়। সাধারণত ইলিশ মাছ দিয়ে রান্না বা গোটা ইলিশ মাছকে ভোগ হিসেবে নিবেদন করার রীতি রয়েছে। আবার অনেকের বাড়িতে ডাবের জলও, তরকারি, সুজির হালুয়াও দেওয়া হয়।