Puri Jagannath Temple: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রান্নাঘরে ঢোকে না এই সব জনপ্রিয় সব্জি
জগন্নাথ মন্দিরের রান্নাঘরকে বিশ্বের সবথেকে বড় বলে মনে করা হয়। সেখানে তৈরি খাবারই দিয়েই ভোগ নিবেদন করা হয় জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে। ৫৬ রকমের পদ দিয়ে ভোগ দেওয়া হয় সেখানে। কিন্তু এত পদ দিলেও এমন কিছু সব্জি আছে, যা কখনও ব্যবহার করা হয় না জগন্নাথ মন্দিরেরে রান্নাঘরে। কোন কোন সব্জি সেখানে ব্যবহার হয় না? কেনই বা হয় না জানেন?
পুরী: ওড়িশার পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দির মহাপ্রসাদ ভক্তদের কাছে অতি কাঙ্খিত। জগন্নাথ মন্দিরের ‘রসাঘর’য় তৈরি হয় সেই প্রসাদ। জগন্নাথ মন্দিরের রান্নাঘরকে বিশ্বের সবথেকে বড় বলে মনে করা হয়। সেখানে তৈরি খাবারই দিয়েই ভোগ নিবেদন করা হয় জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে। ৫৬ রকমের পদ দিয়ে ভোগ দেওয়া হয় সেখানে। কিন্তু এত পদ দিলেও এমন কিছু সব্জি আছে, যা কখনও ব্যবহার করা হয় না জগন্নাথ মন্দিরেরে রান্নাঘরে। কোন কোন সব্জি সেখানে ব্যবহার হয় না? কেনই বা হয় না জানেন?
জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গিয়েছে, জগন্নাথ দেবের ভোগ রান্নায় আলু, টম্যাটো, ঢেঁড়শ, পেঁয়াজ, রসুন, লঙ্কা, ফুলকপি, বাধাকপি, বিনস, উচ্ছে, ক্যাপসিকাম ব্যবহৃত হয় না। মহাপ্রসাদ তৈরিতে এই সব সব্জির ব্যবহার নিষিদ্ধ বলে জানা গিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ সূত্রে।
জগন্নাথের মন্দির বহু হাজার বছরের পুরনো। কিন্তু এই সব্জিগুলির অধিকাংশই এসেছে ১৬০০ খ্রীস্টাব্দ বা তার পর। স্থানীয় ভাবে সেখানে এই সব্জির চাষ হত না। তাই তা জগন্নাথ দেবের ভোগ রান্নায় ব্যবহৃত হত না। সেই ধারা বজায় রেখেই এখনও এই সব্জি থাকে না মহাপ্রসাদে।
জগন্নাথ মন্দিরের রান্নাঘরে দেখতে চমকে যেতে পারেন যে কেউ। তা চওড়ায় প্রায় ৮০ ফুট এবং লম্বায় ১০০ ফুট। সেখানে রান্নার জন্য জ্বলে ২৪০টি উনুন। তবে বিভিন্ন উনুনে বিভিন্ন রান্না হয়। এই রান্নাঘের তৈরি খাবার রোজ খান প্রায় ১ লক্ষ ভক্ত।