হোলির পর হিন্দুরা রঙপঞ্চমী তিথি পালন করে। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, চৈত্র কৃষ্ণপক্ষের পঞ্চম দিনে এই তিথি পালন করা হয়। রঙ পঞ্চমী হল পাঁচ দিনের অনুষ্ঠান যা হোলি উত্সবের পর পরই পালিত হয়। হোলি বা দোল যাত্রা হল হিন্দুদের একটি জনপ্রিয় রঙিন উত্সব। যেটি চৈত্র কৃষ্ণপক্ষের প্রতিপদে শুরু হয় ও পঞ্চমী তিথিতে গিয়ে শেষহয়। পঞ্চম দিনে পালিত যে তিথি, তাকে রঙ পঞ্চমী তিথি নামে পরিচিত।
শুভ মুহূর্ত
২২ মার্চ, মঙ্গলবার রঙপঞ্চমী তিথি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভারতের বেশ কিছু জায়গায় একচেটিয়াভাবে রঙ পঞ্চমীর মাধ্যমে হোলি খেলা হয়। রঙ পঞ্চমী সাধারঁত মথুরা, বৃন্দাবন মন্দিরে পালিত হয়। হোলির উত্সবের সমাপ্তি অনুষ্ঠান হিসেবে।
সময়
২২ মার্চ, পঞ্চমী তিথির সকাল ৬.২৪ মিনিটে শুরু হয়েছে। শেষ হবে ২৩ মার্চ ভোর ৪.২১ মিনিটে।
ইতিহাস
ধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং উত্তর প্রদেশে এই তিথি মেনে উত্সব পালন করা হয়। রঙপঞ্চমীর দিনে মনে করা হয়, নেগেটিভ শক্তিকে দূর করে সর্বত্র পজিটিভ ও ঐশ্বরিক শক্তি বিরাজ করে। এই দিনে রাধাকৃষ্ণের বিশেষ পুজো করা হয়। যদি কৃষ্ণভক্ত হোন, তাহলে রাধারাণীর দর্শন করা বাঞ্ছনীয়। হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, এই দিন শ্রীকৃষ্ণ গোপীদের সঙ্গে রাশলীলা করেছিলেন। পরের দিন রঙ খেলার মাধ্যমে উত্সব পালন করেছিলেন।
কীভাবে পালন করা হয়
এদিন মানুষ একে অপরকে আবির-গুলাল লাগিয়ে পরস্পরকে শুভেচ্ছা জানায়। শুধু তাই নয়, এই বিশেষ তিথিতে রাধা-কৃষ্ণের মূর্তিতে আবির-গুলাল নিবেদন করে প্রার্থনা করা হয়। অনেক জায়গায় রাধাকৃষ্ণের মূর্তি নিয়ে শোভাযাত্রা বের হয়।
আরও পড়ুন: Vastu Tips: আপনি চাকরি করেন নাকি ব্যবসা সামলান! বাস্তুমতে, কর্মক্ষেত্র দেখে হোলির রঙ পছন্দ করুন