গত ১৪ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে শ্রাবণ মাস (Sawan Month) । শ্রাবণ মাসে জল ছাড়াও শিবকে নানাভাবে সন্তুষ্ট করা যায়। যে গুলি শিবের (Lord Shiva) খুব প্রিয়, সেগুলিই প্রদান করার রীতি। শাস্ত্র অনুসারে, এই জিনিসগুলি অর্পণ করা শুভ বলে মনে করা হয়। তবে মনে করা হয়, মহাদেবকে সন্তুষ্ট করা খুব একটা সহজ কাজ নয়। তবে শিবের কৃপা যদি কারোর উপর বর্ষণ হয়, তাহলে তাকে সহজে বিপদে ফেলা বা ক্ষতি করার চেষ্টা করলে ওই ব্যক্তিকে কেউ স্পর্শ করতে পারবে না। শিবের আরাধনায় (Shiva Puja) অন্যরকম আনন্দ রয়েছে। শ্রাবণ মাসে শিবের পুজো করার তাত্পর্য রয়েছে। শাস্ত্র অনুসারে, শ্রাবণ মাস হল আদিদেবের অত্যন্ত প্রিয় একটি মাস। তাই সময় তাঁর পুজো করা হলে ভক্তের বিশেষ ফল লাভ করেন।
শ্রাবণ মাসে শিবকে খুশি করার জন্য উপাসনা যেমন করা হয়, তেমনি উপবাস রেখে কেউ কেউ হরিদ্বারে গিয়ে গঙ্গার পবিত্র জল নিবেদন করেন। শিবকে জলাবিষেক করার কথাও শাস্ত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। শিবলিঙ্গে জল অর্পণ করলে ব্য়ক্তির ধন-সম্পত্তি, সন্তানলাভ ও অন্যান্য সুখ লাভের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তবে এখানে বলে রাখা ভাল, শ্রাবণ মাসের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ মাসে শিবের আরাধনায় শুধু জল নয়, তার সঙ্গে আরও কয়েকটি জিনিস অর্পণ করা হলে সারা জীবন অর্থকষ্ট দূর হয়।
দুধ দিয়ে শিবের প্রতি অভিষেক
বিশ্বাস করা হয় যে দুধ হল সেই জিনিসগুলির মধ্যে একটি যা ভগবান শিবের খুব প্রিয়। বেশিরভাগ ভক্ত জলের পরে শিবকে দুধ নিবেদন করেন, কারণ তাদের মতে এটি অত্যন্ত শুভ। কথিত আছে যে শিবকে দুধ দিয়ে অভিষেক করলে তিনি প্রসন্ন হন এবং তাঁর ভক্তদের উপর তাঁর আশীর্বাদ বর্ষণ করেন। কাজের বাধা দূর হয় এবং যারা অর্থের ক্ষতির সম্মুখীন হন তারাও স্বস্তি পান।
ফলের রস দিয়ে শিবের অভিষেক
শ্রাবণ মাসে ফলের রস দিয়ে ভগবান শিবকে অভিষেক করতে পারেন। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, এই মাসের প্রতি সোমবার সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে শিবলিঙ্গে আপেল ও অন্যান্য রসের মতো তাজা ফল অর্পণ করুন। মনে রাখবেন এই সময়ে আপনাকে জলও দিতে হবে। এই জ্যোতিষশাস্ত্রীয় উপায় অবলম্বন করলে আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে।
ছোলার প্রতিকার
কথিত আছে শিবকে মসুর ডাল নিবেদন করলে ঋণ থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়। আপনিও যদি ঋণের বোঝার নিচে থাকেন, তাহলে শবনের সকালে শিবকে ছোলা ডাল নিবেদন করুন এবং তাঁর সামনে আপনার পরিবারে সুখ শান্তি প্রার্থনা করুন। শিব যদি কারোর প্রতি সন্তুষ্ট হন, তাহলে তার জীবনে সর্বদা সুখ ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে।