AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

রক্তচন্দন না শ্বেতচন্দন? কোন চন্দনে তুষ্ট হন কোন দেবতা, কী বলছে শাস্ত্র?

সনাতন ধর্মে চন্দনকে পবিত্রতা ও শান্তির প্রতীক বলে মনে করা হয়। আয়ুর্বেদ থেকে জ্যোতিষশাস্ত্র—চন্দনের মহিমা অপরিসীম। তবে শাস্ত্র মতে, সব দেবতার পুজোয় সব ধরণের চন্দন ব্যবহার করা যায় না। লাল চন্দন (রক্তচন্দন) এবং সাদা চন্দন (শ্বেতচন্দন)—উভয় প্রকারের আধ্যাত্মিক গুণ ও প্রভাব ভিন্ন। ভুল চন্দনের ব্যবহারে অনেক সময় পুজো পূর্ণতা পায় না বলে মনে করেন শাস্ত্রজ্ঞরা।

রক্তচন্দন না শ্বেতচন্দন? কোন চন্দনে তুষ্ট হন কোন দেবতা, কী বলছে শাস্ত্র?
| Updated on: Dec 19, 2025 | 5:18 PM
Share

সনাতন ধর্মে চন্দনকে পবিত্রতা ও শান্তির প্রতীক বলে মনে করা হয়। আয়ুর্বেদ থেকে জ্যোতিষশাস্ত্র—চন্দনের মহিমা অপরিসীম। তবে শাস্ত্র মতে, সব দেবতার পুজোয় সব ধরণের চন্দন ব্যবহার করা যায় না। লাল চন্দন (রক্তচন্দন) এবং সাদা চন্দন (শ্বেতচন্দন)—উভয় প্রকারের আধ্যাত্মিক গুণ ও প্রভাব ভিন্ন। ভুল চন্দনের ব্যবহারে অনেক সময় পুজো পূর্ণতা পায় না বলে মনে করেন শাস্ত্রজ্ঞরা। জেনে নিন আপনার ইষ্টদেবতার জন্য কোনটি সেরা:

শ্বেতচন্দন বা সাদা চন্দন: শান্তির বাহক সাদা চন্দনকে শীতলতার প্রতীক মনে করা হয়। জ্যোতিষ মতে, এটি মনকে শান্ত রাখে এবং একাগ্রতা বাড়ায়।

মহাদেব ও শ্রীবিষ্ণু: মহাদেব শীতলতা পছন্দ করেন, তাই শিবলিঙ্গে শ্বেতচন্দনের তিলক দেওয়া অত্যন্ত শুভ। একইভাবে ভগবান বিষ্ণু ও শ্রীকৃষ্ণের পুজোয় সাদা চন্দন ব্যবহার করলে সংসারে সুখ-শান্তি বজায় থাকে।

গ্রহ শান্তি: কোষ্ঠীতে চন্দ্র বা শুক্র অশুভ থাকলে সাদা চন্দনের তিলক পরার পরামর্শ দেন জ্যোতিষীরা।

রক্তচন্দন বা লাল চন্দন: শক্তির আধার লাল চন্দন বা রক্তচন্দনকে তেজ ও শক্তির প্রতীক মনে করা হয়। মঙ্গল গ্রহের সঙ্গে এর সরাসরি সংযোগ রয়েছে।

দেবী শক্তি: মা দুর্গা, মা কালী বা যে কোনো দেবী শক্তির পুজোয় লাল চন্দন অপরিহার্য। শক্তির আরাধনায় এই চন্দন ব্যবহার করলে ভক্তের সাহস ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়।

হনুমান ও গণেশ: বজরংবলী এবং গণপতির পুজোয় রক্তচন্দন ব্যবহারের বিধান রয়েছে। এটি জীবনের বাধা-বিপত্তি দূর করতে সাহায্য করে।

তিলক ধারণের মাহাত্ম্য অনেকেই কপালে চন্দনের তিলক পরেন। শাস্ত্র বলছে, কপালে সাদা চন্দনের তিলক পরলে মানসিক শান্তি ও ধৈর্য বাড়ে। অন্যদিকে, রক্তচন্দনের তিলক ধারণ করলে শরীরে শক্তির সঞ্চার হয় এবং নেতিবাচক শক্তি দূরে থাকে।

জ্যোতিষীদের পরামর্শ, “আপনি যদি আধ্যাত্মিক উন্নতি ও মানসিক শান্তি চান, তবে সাদা চন্দন সেরা। আর যদি শত্রু বিজয়, কঠোর পরিশ্রম বা শক্তি অর্জন আপনার লক্ষ্য হয়, তবে লাল চন্দন বেশি ফলদায়ক।” তবে চন্দন যে প্রকারেরই হোক না কেন, তা যেন খাঁটি হয়। কারণ ভেজাল চন্দন বা রাসায়নিক মিশ্রিত সুগন্ধি শাস্ত্রীয় কাজে ফলপ্রসূ হয় না।