Maha Kumbh 2025: নাগা সাধুরা কেন গুচ্ছ গুচ্ছ রুদ্রাক্ষের মালা পরেন জানেন?
Maha Kumbh 2025: শাস্ত্র মেনে কুম্ভের সময় ১৭টি অলঙ্কার পরেন নাগা সাধুরা। মনে করা হয় এই সব রুদ্রাক্ষ পরা অত্যন্ত পবিত্র। কিন্তু কুম্ভের সময় কেন রুদ্রাক্ষ ধারণ করেন নাগা সাধুরা, জানেন?

কুম্ভ মেলা মানেই নাগা সাধুদের ভিড়। গায়ে ভস্ম মেখে হাতে গলায় রুদ্রাক্ষের মালা পরে ধ্যান মগ্ন সাধুদের ছবি প্রায় প্রত্যেকের কাছে পরিচিত। কারও মাথায় থাকে পাহাড় সমান উঁচু রুদ্রাক্ষের জটা। কেউ আবার সারা শরীরে ধারণ করে ঘুরছেন ৪৫ কেজির রুদ্রাক্ষ। শাস্ত্র মেনে কুম্ভের সময় ১৭টি অলঙ্কার পরেন নাগা সাধুরা। মনে করা হয় এই সব রুদ্রাক্ষ পরা অত্যন্ত পবিত্র। কিন্তু কুম্ভের সময় কেন রুদ্রাক্ষ ধারণ করেন নাগা সাধুরা, জানেন?
নাগা সাধুরা সাধারণত ভগবান শিবের উপাসক। ভোলেনাথের আরাধনা করেন তাঁরা। পুরাণ মতে রুদ্রাক্ষের উৎপত্তিও ভগবান শিবের অশ্রু থেকে। কাহিনী অনুসারে, ভগবান শিব হাজার হাজার বছর ধরে চোখ বন্ধ করে ধ্যানে মগ্ন ছিলেন। ধ্যান শেষে যখন তিনি চোখ খোলেন, তখন তাঁর চোখ থেকে আনন্দের অশ্রু গড়িয়ে পরে। সেই অশ্রু মাটিতে পড়ে, তা রুদ্রাক্ষে পরিণত হয়।
বিশ্বাস, রুদ্রাক্ষ হল ভগবান শিবের ঐশ্বরিক আশীর্বাদ। মহাকুম্ভের সময় নাগা সাধুরা গলায় যে রুদ্রাক্ষ পরেন তা ভগবান শিবের সঙ্গে তাঁদের সংযোগের প্রতীক। নাগা সাধুরা মহাকুম্ভের সময় নেতিবাচক শক্তি থেকে নিজেদের রক্ষা করতেই রুদ্রাক্ষ পরেন। নাগা সাধুদের সাধনায়ও রুদ্রাক্ষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মহাকুম্ভের সময় রুদ্রাক্ষ নাগদের গভীরভাবে ধ্যান করতে সাহায্য করে।
বিশ্বাস, রুদ্রাক্ষ পরলে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়। রুদ্রাক্ষ মনকে শান্ত রাখে, মানসিক চাপ কমায়। ঋতুস্রাবের একাগ্রতা বৃদ্ধি পায়। গ্রহের ক্ষতিকর প্রভাব কমে। রুদ্রাক্ষ আধ্যাত্মিক জ্ঞান বৃদ্ধি পায়। রুদ্রাক্ষ জীবনের কষ্ট দূর করতে সাহায্য করে।
