Chaitra Navratri 2023: উপবাস না রেখেও দশভুজাকে রাখা যায় তুষ্ট, বাসন্তী পুজোর আগে বাড়িতে আনুন এই ৭ জিনিস
Navratri Puja Samagri: নবরাত্রিতে কলস প্রতিষ্ঠা করার সময় এর জন্য কিছু জিনিসের প্রয়োজন হয়, যা কয়েকদিন আগেই সেগুলি মজুত করা হয় বাড়িতে।
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আগামী ২২মার্চ থেকে চৈত্র নবরাত্রি শুরু হচ্ছে। হিন্দু ধর্মে মতে, এই দিনগুলিতে দেবী দুর্গার নয় রূপের পুজো করা হয়। বাংলায় এই পুজোই বাসন্তী পুজো নামে পরিচিত। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, এবার নবরাত্রিতে গজকেশরী যোগ, বুধাদিত্য যোগ, শশী যোগ, হংস যোগ, রাজলক্ষণ যোগ এবং ধর্মাত্মার মতো শুভ যোগ তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি মীন রাশিতে ৫টি গ্রহ মিলিত হচ্ছে। এই গ্রহ ও শুভ যোগের কারণে চৈত্র নবরাত্রির গুরুত্ব বেড়ে গিয়েছে দ্বিগুণ। নবরাত্রিতে কলস প্রতিষ্ঠা করার সময় এর জন্য কিছু জিনিসের প্রয়োজন হয়, যা কয়েকদিন আগেই সেগুলি মজুত করা হয় বাড়িতে। এই জিনিসগুলি ছাড়া কলস স্থাপন ও দশভুজার আরাধনা করা অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। দুর্গার আশীর্বাদে এই জিনিসগুলি পুজোয় রাখলে অশান্তির ছায়া কেটে গিয়ে ভাগ্য উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। পাশাপাশি সুখ ও সমৃদ্ধিও বিরাজ করে। নবরাত্রির পুজোর আগে কোন কোন জিনিসগুলি বাড়িতে নিয়ে আসা উচিত, তার একটি লিস্ট জেনে নিন…
সাজসজ্জা: কলস স্থাপন ও দশভুজার আরাধনায় পুজোয় সাজসজ্জায় ষোলটি জিনিসের প্রয়োজন সেগুলি এখন থেকেই ঘরে কিনে রেখে দিন। শক্তির দেবী আরাধনায় এই ষোলটি সাজ নিবেদন করলে দুর্গার কৃপায় সুখ ও সৌভাগ্য বৃদ্ধি পায়, স্বাস্থ্য থাকে ভাল।
কলস: নবরাত্রির সময় দুর্গার পুজোর আগে কলস প্রতিষ্ঠা করা হয়, এখন থেকেই বাড়িতে কলস কিনে রেখে দিন। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, কলস মহাবিশ্বের প্রতীক হিসাবে মানা হয়। যার কেন্দ্রে সমস্ত দেব-দেবীর অধিবাস। শাস্ত্রমতে কলসের মুখে বিষ্ণু, গলায় রুদ্র ও মূলে ব্রহ্মা বাস করেন।
কলস স্থাপনে পল্লব: পল্লবকে কলসের উপর স্থাপন করতে হয়, যা পঞ্চ পল্লভ নামেও পরিচিত। পল্লব পিপল, গুলার, অশোক, আম পাতা নিয়ে গঠিত, যা কলাশের উপর স্থাপন করা হয়। এর উপরে নারকেল বা ডাব রাখা হয়। কলসের উপর পাতা সাধারণত আমপাতা রাখা হয়।
দুর্গা বিষা যন্ত্র বা শ্রী যন্ত্র: চৈত্র নবরাত্রির পুজোর আগে সামগ্রীতে দুর্গাবিষা যন্ত্র বা শ্রীযন্ত্র আনতে ভুলবেন না যেন। বিশ্বাস করা হয় যে নবরাত্রির সময় দুর্গার মূর্তি বা ছবির কাছে দুর্গাবিষা যন্ত্র রাখলে ধন-সম্পদ ও সমৃদ্ধি আসে। এই যন্ত্রটি একটি সুরক্ষা ঢাল হিসাবে কাজ করে, যা সমস্ত ঝুট-ঝামেলা দূরে থাকে।
দুর্গার প্রতীকী পতাকা: চৈত্র নবরাত্রিতে দুর্গার উদ্দেশে পতাকা অর্পণ করা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। পতাকাটিকে বিজয়ের সূচক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বাড়িতে স্থাপন করলে দুর্গার আশীর্বাদও পাওয়া যায়। বাড়িতে পতাকা লাগাতে না চাইলে অবশ্যই দেবীর মন্দিরে অর্পণ করুন। বাস্তু অনুসারে, বাড়িতে উত্তর-পশ্চিম দিকে পতাকা রাখলে সব দিকে ভক্তরা নিরাপদ থাকেন। প্রতিটি কাজেই সাফল্য আসে।
ঘটস্থাপনের জন্য যব: নবরাত্রির পুজোয় ঘটস্থাপনায় যব বপন করা হয়, যা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। তাই এখন থেকে যব এনে বাড়িতে রাখুন। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, ঘট স্থাপণে যব বপন করলে ঘরে অর্থ-শস্যের অভাব হয় না ও এটি সমৃদ্ধি, সুখ ও উন্নতির প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়।
দশভুজার প্রতিমা বা ছবি: নবরাত্রির পুজো আর দেরি নেই। এখন থেকে বাড়িতে নিয়ে আসুন দুর্গার মূর্তি বা ছবি। পিতল বা অষ্টধাতু দিয়ে তৈরি মাতৃদেবীর মূর্তি বাড়িতে আনলে তা খুব ভালো বলে মনে করা হয়, তবে মনে রাখবেন বাড়িতে আগে থেকেই কোনও মূর্তি বা ছবি থাকে, তাহলে অন্য কোনও মূর্তি বা ছবি কিনবেন না। পাশাপাশি ভাঙা মূর্তি থাকলে তা পুজোর ঘর থেকে সরিয়ে ফেলুন।
প্রদীপ: নবরাত্রির পুজোয় অশোক পাতা ও প্রদীপ দিয়ে তৈরি বান্দনওয়ার প্রদীপ ও ঘি জ্বালাতে হয়। তাই মা দুর্গার পুজো সামগ্রীতে এই জিনিসগুলি অন্তর্ভুক্ত করুন। অশোক পাতা দিয়ে তৈরি বান্দরোয়ান হিন্দুধর্মে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। বিশ্বাস করা হয় যে ঘর থেকে নেতিবাচক বা অশুভ শক্তি দূর হয়।
প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র: শঙ্খ, সিঁদুর, রোলি, কর্পূর, ধূপ, লাল ফুল, সুপারি, হলুদের গিঁট পত্র, আসন, চৌকি, জায়ফল, গদা, কমলগট্ট, নৈবেদ্য, বাতাসা, মধু-জল, চিনি, নারকেল, গঙ্গাজল ইত্যাদি। .