কলকাতা: রবিবার কলকাতা হকি লিগের ডার্বিতে রণক্ষেত্র চেহারা দেখেছিল ময়দান। দিন পাঁচেকের মধ্যে আবারও সেই ছবি দেখল কলকাতা ময়দান। তবে এবার ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান বড় ম্যাচ নয়। ইস্টবেঙ্গল-পঞ্জাব স্পোর্টস হকি ম্যাচেও রণক্ষেত্র চেহারা দেখল কলকাতা ময়দান। ইস্টবেঙ্গল মাঠে দুই দলের ম্যাচ ধুন্ধুমার আকার নেয়। খেলার শুরু থেকেই দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হচ্ছিল। ম্যাচের পর যা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এরিয়ান স্পোর্টসের গ্যালারিতে ছিল পঞ্জাবের সমর্থকরা। ইস্টবেঙ্গলের অভিযোগ, প্রথম থেকেই সেখান থেকে উড়ে আসছিল তীর্যক মন্তব্য। খেলায় ১-০ এগিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদের অভিযোগ ম্যাচে মাঝে মধ্যেই কারণে অকারণে খেলায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছিলেন আম্পায়ার। যার ফলে ম্যাচ শেষ হতেও অনেকটা সময় লেগে যায়।
খেলার একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল করে ম্যাচের ফল ১-১ করে পঞ্জাব স্পোর্টস। এরপরই রণক্ষেত্র চেহারা নেয় ইস্টবেঙ্গল মাঠ। দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক হাতাহাতি হয়। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ইস্টবেঙ্গলের এক কর্তাও। মাঠের বাইরে লেসলি ক্লডিয়াস সরণিতেও দুই দলের সমর্থকদের হাতাহাতির রেশ এসে গড়ায়। বাঁশ, হকি স্টিক দিয়ে দুই দলের সমর্থকরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। আহত ৪ জন। একজনের মাথায় গুরুতর জখম হয়।
মাঠে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি। ঘটনার পর ময়দান থানার বিশাল ফোর্স ইস্টবেঙ্গল মাঠে আসে। ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, ‘আমাদের ম্যাচকে কেন্দ্র করেই কেন বারবার উত্তপ্ত হচ্ছে তা জানি না। পুলিশ থাকা সত্ত্বেও এমন ঘটনা ঘটবে আশা করিনি।’
একই সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল কর্তা বলেন, ‘মোহনবাগান সচিব তো বলতেন আইএফএ প্রেসিডেন্ট অজিত বন্দোপাধ্যায় ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে কি করছেন। হকি বেঙ্গলের প্রেসিডেন্ট স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় মোহনবাগানের ফুটবল সচিব হন কি ভাবে? বাগান সচিব উত্তর দিক।’
তবে দুটো ম্যাচেই ঝামেলার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা পঞ্জাব স্পোর্টসের কর্তা গুরমিত সিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। ডার্বিতেও তাঁকে মারপিট করতে দেখা যায়। অভিযোগ, এ বারে তিনি নাকি বকলমে মোহনবাগানের হকি দল গড়েছে। সেই ব্যক্তিই আবার পঞ্জাব স্পোর্টসের কর্তা। এ দিনও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।