দুবাই: করোনা (COVID-19) পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে, কিন্তু এখনও বিপদ কাটেনি। বারবার বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাই আরব দেশে আইপিএলের (IPL) দ্বিতীয় অংশ নিয়ে বেশ কড়া স্বাস্থ্যবিধি তৈরি করেছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (BCCI)। সঙ্গে মাথায় রাখতে হচ্ছে আরব আমিরশাহির (UAE) কড়া কোভিড বিধি। তাই আইপিএলের দ্বিতীয় অংশ নতুন সাতটি নিয়ম (New Rules) মানতে হবে সব দলের প্রত্যেক সদস্যকে।
দেশের মাঠে আইপিএলের (IPL) প্রথম অংশে বায়ো বাবলে (Bio Bubble) হানা দিয়েছিল করোনা। একাধিক ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ কোভিড সংক্রমিত হয়েছিলেন। আরব দেশে যেন আবার একই লজ্জায় না পড়তে হয় সে দিকে সজাগ দৃষ্টি বিসিসিআইয়ের। কোন সাত নতুন নিয়মে হবে আইপিএল?
কোনও পরিচিত, অপরিচিত ব্যক্তি যাতে হোটেলে ক্রিকেটার বা দলের অন্যদের কাছাকাছি পৌঁছতে না পারে, তার জন্য প্রত্যেক দলের সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। দলগুলিকে বলা হয়েছে, গোটা হোটেল বুক করতে। সেটা সম্ভব না হলে সংশ্লিষ্ট হোটেলের একটি নির্দিষ্ট অংশ বুক করতে হয়েছে ফ্রাঞ্চাইজিগুলিকে। এবং সেই সীমায় দলের বাইরের কারও ঢোকা নিষিদ্ধ। দলের কেউ এই সীমার বাইরে যেতে পারবেন না।
আইপিএলের তৈরি বায়ো বাবল যাতে কেউ ভাঙতে না পারে, সেদিকে নজর রাখতে প্রত্যেক দল চার সদস্যের বায়ো বাবল ম্যানেজার তৈরি করেছে। দলের সবার দিকে নজর রাখার দায়িত্ব তাঁদের উপর। কেউ নিয়ম ভাঙলেই কর্তৃপক্ষকে জানানোর দায়িত্ব তাঁদের।
বিভিন্ন গবেষণা জানিয়েছে ক্রিকেট বল কোভিড নাইন্টিনের বাহক নয়। কিন্তু বিসিসিআই কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয়। বল গ্যালারিতে গেলে বা মাঠের বাইরে গেলে সেই বল বদল দেওয়া হবে। বাইরে যাওয়া বলকে স্যানিটাইজ করে পরে ব্যবহার করা হবে।
বাইরের মানুষের সঙ্গে দলের সদস্যদের হোটেলে ঢোকার রাস্তা সম্পূর্ণ আলাদা। সেই রাস্তা দিয়েই অনুশীলন বা ম্যাচ খেলতে যাবেন ক্রিকেটাররা। ফিরবেনও একই পথে।
বায়ো বাবলে ঢোকার আগে প্রত্যেক সদস্যের তিনটি RTPCR টেস্ট হবে। যাঁরা অন্য বাবল থেকে না এসে সরাসরি দলের সঙ্গে যোগ দেবেন, তাঁদের এই তিনটি পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। সাতদিনের মধ্যে হবে তিনটি RTPCR টেস্ট। সব ক’টি রিপোর্ট নেগেটিভ হলেই বায়ো বাবলে ঢুকতে পারবেন সেই ক্রিকেটার বা সাপোর্ট স্টাফ।
শুধু ক্রিকেটার বা দলের সাপোর্ট স্টাফ নন, তাঁদের পরিবারের সদস্য, এমনকি গ্যালারিতে থাকা দলের মালিক বা তাঁদের পরিবারকেও থাকতে হবে বায়ো বাবলে। সেটা না হলে ক্রিকেটারদের কাছাকাছি যেতে পারবেন না তাঁরা।
অনেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার তাঁদের জাতীয় দলের দায়িত্ব সামলে আসবেন আইপিএল খেলতে। যাঁরা অন্য বায়ো বাবল থেকে আইপিএলের বাবলে ঢুকবেন, তাঁদের কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হবে না। তাঁরা সরাসরি আইপিএল বাবলে ঢুকতে পারবেন। যেমন ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজের পর অংশ নেবেন ওই দুই টিমের ক্রিকেটাররা। তাঁরা ইংল্যান্ড থেকে আরব দেশে এসে সরাসরি তাঁদের নিজেদের দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারবেন।
আমিরশাহিতে বায়ো বাবল নিয়ে কেন এত হইচই বা কড়াকড়ি? একটাই কারণ, আইপিএলের বাকি ম্যাচেই শুরু হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বোধন। কোনও ক্রিকেটার যাতে করোনা-সমস্যায় না পড়েন, তাই এত কড়া পদক্ষেপ নিতে চাইছে বিসিসিআই।
আরও পড়ুন: IPL 2022: আকর্ষণ বাড়াতে পাল্টাচ্ছে আইপিএলের ফরম্যাট